Header Ads

১০ টা গাড়ি নিয়ে ঘুরলে নেতা হওয়া যায় না, অনুব্রতকে এভাবেই আক্রমণ করলেন মল্লিকা চোঙদার।

নজরবন্দি ব্যুরো: এবার অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন গুসকরা পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার। এবার সরাসরি আক্রমণ করলেন অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতকে পাল্টা হুঁশিয়ারি, 'তৃণমূল আপনার নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল'।
আর এরপরেই ফেসবুকে তৃণমূল ছাড়ার কথা জানালেন মল্লিকা। যদিও এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে চান না বীরভূমের বেতাজ বাদসা। অনুব্রতর পাল্টা দাবি,'ও কি করল তাতে আমার বয়ে গেল। দল করলেই কি আর না করলেই বা কি।'

এই বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত আউশগ্রামে এক কর্মীসভায়। আউশগ্রাম-১ ব্লকের বিল্বগ্রাম অঞ্চলের বেলাড়ি স্কুল মাঠে শুক্রবার কর্মীসভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর আদরের কেষ্ট। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বাড়ছে। এবারের নির্বাচনের ফলে তাঁর প্রমাণ স্পষ্ট। খোদ অনুব্রত মণ্ডলের নিজের ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে জোড়া ফুল। এই অবস্থায় বিজেপির হাতে তৃণমূলের কর্মীদের ক্রমশ মার খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ মল্লিকার। আর সভা শেষে সেই বিষয়টিই অনুব্রতকে জানান তিনি। কার্যত একটু ক্ষুব্ধ হয়েই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, দলীয় কর্মীরা মার খাচ্ছেন।
অথচ দলীয় নেতৃত্ব আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না, এমনকি খোঁজখবরও নিচ্ছেন না। আর তা নিয়েই তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অনুব্রত ও মল্লিকা। রীতিমত প্রকাশ্যে একে অপরের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এরপরেই মল্লিকা চিৎকার করে বলতে থাকেন, '১০টা গাড়ি নিয়ে ঘুরলে নেতা হওয়া যায় না। আমি কাটমানি খাইনি। পারলে আমাকে তাড়িয়ে দিক।' আর তাতে আরও ক্ষুব্ধ হন অনুব্রত। কেষ্টর হুঁশিয়ারি, মল্লিকাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাতে দমে যাননি তিনি। বলেন, তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডলের দল নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এরপরে ফেসবুকে সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন গুসকরা পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। তিনি লেখেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের দুর্ব্যবহারে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিলাম। ১৯৯৮ থেকে ২০১৯ সাল দল করে বেশ সম্মান পেলাম আমি।'
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.