Header Ads

আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জেলা জুড়ে যত্রতত্র রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদের ব্যবসা।

পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বর্তমান যুগে কারনপান ছাড়া হাল ফ্যাশন যেন চলেই না। কারণ আধুনিক যুব সমাজের কাছে একটা বড় অংশের স্টাইল বা ট্রেডমার্ক। না কোন গদ্য বা কবিতার লাইন ন,য় দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরে দিনদুপুরে রাস্তার ধারে, ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা হোটেল ও দোকানগুলিতে আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদের ব্যাবসা। এই সব দোকানগুলির কোন লাইসেন্স নেই। প্রকাশ্যেই দেদার বিক্রী হচ্ছে মদ। সুত্র মারফত জানা গেছে, থানায় ও আবগারি দপ্তরের বাবুদের মাসিক টাকা দিলেই মদ বিক্রীর টেন্ডার পাওয়া যায়। আবার থানার পুলিশ কর্মীদের খুশি করতে এইসব হোটেলের মালিকরা নামিদামী বিদেশী মদ খাওয়ান।
 মাঝে মধ্যে নিয়ম মাফিক বা লোক দেখানো অভিযান হোটেল বা দোকান গুলোতে চালিয়ে মদ আটক করা হয়। কিন্তু তারপর কোনো এক অজানা কারণে মদ ব্যবসায়ী ছাড়া পেয়ে বুক চিতিয়ে আবার মদ বিক্রী করতে থাকেন। এই হোটেলগুলিতে ১০ টাকার খরিদ্দার থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা ও তারও বেশী টাকার খরিদ্দারদের ভীড় দেখা যায়। আর এই মদের দোকানগুলিতে সন্ধ্যে হতেই ভীড় জমায় অল্পবয়সি যুবক থেকে শুরু করে বহু মানুষ। তাদের জন্য আরাম করে পানের জন্য চলতি ভাষায় কেবিন রয়েছে। মাঝে মাঝেই মদের আসরগুলিতে গন্ডগোলের খবর শোনা যায়। আর এইসব কিছুই ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। তারা সব জেনেও নীরব বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মদের আসরের জন্য যুব সমাজের ভবিষ্যত দিনের পর দিন তলানিতে ঠেকছে, যা সত্যিই সমাজের কাছে একটি লজ্জাজনক ঘটনা।
 তাদের ভবিষ্যত যে অন্ধকার বলাই বাহুল্য। ২০১৫ সালে কালীপুজোর রাতে বুনিয়াদপুরে এক যুবক খুন হয়েছিল। তারপরও হুশ ফেরেনি প্রশাসনের। ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা অবৈধ মদের কারবার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রশাসন ঠুটো জগন্নাথ হয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই মদ পিপাসু যুব সমাজকে সকাল থেকে এই ধরনের মদের ঠেকগুলো আকর্ষন করছে। প্রত্যেকের দাবী, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিসত্বর এইসব অবৈধ মদ ব্যবসা বন্ধ করা দরকার।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.