পায়ের তল খ্যাত মনিরুলের পর বিজেপি-তে এবার তোয়ালে খ্যাত শোভন? 'ফুলে বিষের গন্ধ'
অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): জনগনের কল্যান বা দলীয় আদর্শের চেয়ে বর্তমান রাজনীতিতে প্রাধান্য পাচ্ছে সুবিধাবাদ। অর্থাৎ যেদিকে পাল্লা ভারি সেই দিকের জার্সি গায়ে চাপিয়ে নাও, আদর্শ? বালাই ষাট!
যাই হোক রাজ্য রাজনীতিতে এই দলবদল অর্থাৎ আয়ারাম গয়ারাম রাজনীতির শুরু হয় কমবেশি ২০১০ সাল থেকে যা এখন বাঙালির মাছ ভাত খাওয়ার মতই হয়ে গেছে। এরাজ্যে দাপট বেড়েছে বিজেপি-র। বিজেপি-র অনুকুলে জনস্রোত আর স্রোতে গা ভাসাতে ব্যাস্ত তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশ, সৌজন্যে অবশ্যই প্রাক্তন তৃণমূল তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
অবস্থা এমন একটা যায়গায় পৌঁছে গেছে যে বিজেপি কর্মীরা মনের সুখে কোন তৃণমূল নেতাকেই গালমন্দ করতে পারছেন না! চিন্তা একটাই কখন কে জামা বদলে তাঁদের দলের নেতা হয়ে যান! সম্প্রতি বীরভূমের মনিরুল ইসলামের পর এই লাইনে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। নারদ কান্ডে 'তোয়ালে খ্যাত' শোভন চট্টোপাধ্যায় কি এবার জার্সি বদলে 'তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে' লড়বেন? সময় বলবে কারন স্ত্রী রত্না এবং বান্ধবী বৈশাখী-র দু নৌকায় পা দিয়ে ভরাডুবি হয়েছে শোভনের!
প্রিয় দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন বৈশাখী কে না ত্যাগ করলে দলে কোনদিনই ভাল জায়গা পাবেন না প্রাক্তন মেয়র। অন্যদিকে 'দাদা' মুকুলের সাথেও শোভনের সখ্যতা সুবিদিত। সূত্রের খবর আজ দিল্লী গেছেন শোভন, আর এরাজ্যের তৃণমূল নেতার দিল্লী যাওয়া মানেই অনেকটা ঘরপোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ দেখার ইঙ্গিত। একটি সূত্র জানাচ্ছে বিজেপি-র এক সর্বভারতীয় নেতার সাথে মিটিং এ বসবেন শোভন, অন্য সূত্র বলছে ব্যাক্তিগত কাজেই তিনি দিল্লীতে! যার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
যাই হোক না কেন কিছুদিনের মধ্যেই চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। জলাঞ্জলি যাক মানুষের আবেগ, বিশ্বাসযোগ্যতা তাতে কার কি এসে গেল? নচিকেতার বিখ্যাত গানের একটা লাইন মনে পড়ছে "আজকে যিনি দক্ষিণেতে কাল সে তিনি বামের। আজকে যিনি তেরঙ্গা তে কাল ভক্ত রামের।" এভাবেই চলবে?
যাই হোক রাজ্য রাজনীতিতে এই দলবদল অর্থাৎ আয়ারাম গয়ারাম রাজনীতির শুরু হয় কমবেশি ২০১০ সাল থেকে যা এখন বাঙালির মাছ ভাত খাওয়ার মতই হয়ে গেছে। এরাজ্যে দাপট বেড়েছে বিজেপি-র। বিজেপি-র অনুকুলে জনস্রোত আর স্রোতে গা ভাসাতে ব্যাস্ত তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশ, সৌজন্যে অবশ্যই প্রাক্তন তৃণমূল তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
অবস্থা এমন একটা যায়গায় পৌঁছে গেছে যে বিজেপি কর্মীরা মনের সুখে কোন তৃণমূল নেতাকেই গালমন্দ করতে পারছেন না! চিন্তা একটাই কখন কে জামা বদলে তাঁদের দলের নেতা হয়ে যান! সম্প্রতি বীরভূমের মনিরুল ইসলামের পর এই লাইনে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। নারদ কান্ডে 'তোয়ালে খ্যাত' শোভন চট্টোপাধ্যায় কি এবার জার্সি বদলে 'তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে' লড়বেন? সময় বলবে কারন স্ত্রী রত্না এবং বান্ধবী বৈশাখী-র দু নৌকায় পা দিয়ে ভরাডুবি হয়েছে শোভনের!
যাই হোক না কেন কিছুদিনের মধ্যেই চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। জলাঞ্জলি যাক মানুষের আবেগ, বিশ্বাসযোগ্যতা তাতে কার কি এসে গেল? নচিকেতার বিখ্যাত গানের একটা লাইন মনে পড়ছে "আজকে যিনি দক্ষিণেতে কাল সে তিনি বামের। আজকে যিনি তেরঙ্গা তে কাল ভক্ত রামের।" এভাবেই চলবে?

No comments