Header Ads

"শিক্ষকরা খেলনা নন, পিআরটি দরকার তাই বদলাও সরকার"!! #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভারতবর্ষের সকল রাজ্যে ৭ম বেতন কমিশন গঠনের পর প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন কাঠামো হয়ে গেছে ৩৫৪০০, সেখানে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ এখনো পড়ে রয়েছে সেই মাত্র ৫৪০০+২৬০০ বেতন কাঠামোতেই। প্রতি মাসে বঞ্চনার পরিমান কমপক্ষে ১০,০০০ টাকা! অরাজনৈতিক প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ইউইউপিটিডাব্লুএ-র অভিযোগ কেন্দ্রের ষষ্ঠ বেতন কমিশন মেনে রাজ্যের সমস্ত বেতন কাঠামো গঠন হলেও ব্যতিক্রম শুধুমাত্র প্রাথমিকে। কেন্দ্রের ষষ্ঠ বেতন কমিশন মেনেও যদি তারা বেতন পেতেন তাহলে তারা বর্তমানে প্রাপ্ত প্রারম্ভিক বেতনের তুলনায় আরো ১০০০০ টাকার বেশী বেতন পেতেন।
UUPTWA-র পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রতিটি দফতরে দরবার করা হয়েছে বারংবার। প্রতিটি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি UUPTWA ডেপুটেশন দেয় শিক্ষা সচিব এবং শিক্ষামন্ত্রী কে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বারংবার দেখা করতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে দমে জাননি সংগঠনের শিক্ষক-রা। শহর করকাতায় নিজেদের দাবী নিয়ে একাধিকবার করেছেন মিছিল-সমাবেশ। সম্প্রতি গত ৬ই ফেব্রুয়ারি তারা কলকাতা রামলীলা ময়দানে সমাবেশ করে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।রাজ্য সরকারকে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যদি ২৫শে ফেব্রুয়ারি এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসেন তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। যার প্রভাব ভোট বাক্সেও পড়বে।
একই সঙ্গে সংগঠনের সভাপতি সন্দীপ ঘোষ ''দিল্লী চলো" ডাক দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে, ২৫ তারিখের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে।সেই ঘোষণা অনুযায়ী সম্প্রতি ৬ই মার্চ দিল্লির যন্তর মন্তর এ UUPTWA এর উদ্যোগে সকাল ১০ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশ করেন রাজ্যের হাজারো বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষক। দিল্লীর দরবারে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের রোষের আগুনের উত্তাপ এসে পৌঁছায় রাজ্যেও! ফলস্বরূপ UUPTWA সংগঠনের সাথে যুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের পড়তে হচ্ছে রাজরোষে বলে অভিযোগ। দ্বীপান্তরে পাঠানোর মত চূড়ান্ত অমানবিকতার সাথে তাঁদের ধরানো হচ্ছে বদলির নোটিশ বলে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রতিবাদ স্বরূপ সুর চড়িয়েছে সংগঠন! পথে হেঁটে আর আদালতে দাঁড়িয়ে একসাথে জোড়া প্রতিবাদ কর্মসূচির পথে হাঁটতে চলেছে 'উস্থি'।
সংগঠনের সম্পাদিকা 'প্রাথমিক পাওয়ার ভয়েস' পৃথা বিশ্বাসের বক্তব্য,"অনেক হয়েছে সরকারকে অনুনয় বিনয় এবার রাজ্য সরকার যে ভাষা শুনতে চাইছেন সে ভাষাতেই জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।" পিআরটি যেখানে ভোট পড়বে সেখানে আর  পিআরটি দরকার তাই বদলাও সরকার এই দুই স্লোগান কে সামনে রেখে এবার যুদ্ধে অবতীর্ন হতে চলেছে ইউইউপিটিডাব্লুএ। এবার কি রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার করবে? না আরও জটিল হবে পরিস্থিতি বলবে সময়।
অন্যদিকে সংগঠনের মুর্শিদাবাদ শাখার সম্পাদক মনিষ কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, "দিল্লি অভিযানের সাফল্যে আতঙ্কিত হয়ে UUPTWA এর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অবৈধভাবে বদলীর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।" পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, "আমাদের এই সংগঠনের মূল প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হলে রাজনৈতিক ভেদাভেদ না রেখে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষকরা উপকৃত হবে। আমরা অবৈধভাবে বদলীর জন্য সমস্ত UUPTWA core committee এর সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সর্বতোভাবে সমর্থন জানাবে। এর জন্য কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করলে অবশ্যই সহযোগিতা করবে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ করছি যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে ও আর্থিক সহায়তা করতে। Case এর মাধ্যমে এমন রায় আনতে যাতে শিক্ষকদের "খেলনা" ভাবার প্রবনতা একদম নির্মূল হয়। শিক্ষকরা সহজে ভয়ভীতি ছাড়া শিক্ষকতা করতে পারেন। 
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.