Header Ads

অনশন কিনা জানিনা,তবে আর্মি ল্যান্ডের ওপর ২৬ দিন ধর্না দিয়েছিলেন মমতা! নজরুল

নজরবন্দি ব্যুরোঃ জনগনের জন্যে কে কি করবে ক্ষমতায় এলে সেই প্রতিশ্রুতির বুলি ছুটছে রাজ নেতাদের মুখে মুখে, সামনেই ভোট, ঠিক তখনই রোদে পুড়ে জলে ভিজে শীতে কাঁপতে কাঁপতে চরম অস্বাস্থকর পরিবেশে অনশন করছে ওরা। রাজ্যের প্রায় ৪০০ জন হবু শিক্ষক। দিন আসে দিন যায়, এভাবেই আজ অনশন ২৫ দিনে পা দিয়েছে। এরাজ্যে ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে নিয়োগ পথে বসেছে সে অভিযোগ নতুন নয়।  স্কুলশিক্ষকের পদে নিয়োগের দাবিতে মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তত ৪০০ জন অনশন করছেন। তাঁর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৬০ জনেরও বেশি পরীক্ষার্থী। গতকাল থেকে অনশন ভাঙতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। অনশনকারীদের কাছে তাঁরা নিয়ে আসে সেনাবাহিনীর একটি চিঠি, তা দেখিয়ে পুলিশ অনশন স্থল খালি করে দিতে বলে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ হুমকি দেয় যদি অনশনকারীরা জায়গা খালি করে অনশন না তুলে নেয় তাহলে তাঁদের বলপ্রয়োগ করে তুলে দেওয়া হবে। হবু শিক্ষকদের দাবি, তাঁদের অনশন আজ ২৫ দিনে পড়েছে আর ২৪ ঘন্টা অনশন চালিয়ে গেলে ভেঙে যাবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনশনের রেকর্ড। সেই কারনেই পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে তাঁদের অনশন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যাই হোক না কেন, অনশন তুলবেন না তাঁরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হবু শিক্ষকরা।
অন্যদিকে যখন পুলিশ অনশনস্থলে আসে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা IPS নজরুল ইসলাম। তাঁকে কলকাতা পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করে সেনাবাহিনী উঠে যেতে বলেছে, জবাবে নজরুল সেনাবাহিনীর চিঠি ভাল করে পড়েন এবং পুলিশ কে সাফ জানিয়ে দেন চিঠিতে কোথাও লেখা নেই তুলে দাও। সেনাবাহিনী জানতে চেয়েছে কারা অনুমতিহীন ভাবে বসে রয়েছে প্রেস ক্লাবের সামনে এবং পুলিশ কে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে বলেছে। নজরুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান এখন যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনিও ২৬ দিন ধরে আর্মি ল্যান্ডের ওপর বসে ছিলেন। তিনি অনশন করেছিলেন কিনা জানা নেই তবে ধর্নায় ছিলেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তখন তো তাঁকে কেউ তুলে দেয়নি। তিনি কি আর্মির অনুমতি নিয়েছিলেন? পুলিশ ভাল বলতে পারবে। তাছাড়া এখন জেভাবে বে আইনি কাজ চলছে সেগুলো না আটকে অধিকারের দাবীতে যারা অনশনে বসেছে তাঁদের তুলে দেওয়ার কোন যুক্তি নেই। 
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.