জামা বদল আসলে পালাবদলেরই ইঙ্গিত, ২০০৯-১১ র পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে ২০১৯-২১ এ?#Editorial
অর্ক সানাঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে ঘটে চলেছে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। যে আয়ারাম গয়ারাম রাজনীতি তৃণমূলের হাত ধরে রাজ্যে প্রবেশ করেছিল সেই রাজনীতি বুমেরাং হয়ে আঘাত হানছে তৃণমূল পরিবারে।
ঘর ভাঙা শুরু করেছে বিজেপি। কংগ্রেস বাম তো বটেই সব থেকে বেশি ঘর ভাঙছে তৃণমূলের। যে তৃণমূল নেতারা নিজের নিজের এলাকায় দাপট দেখিয়ে বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি সরিয়ে দিয়েছিলেন সেই প্রবল বিরোধী বিজেপির ঘরে আশ্রয় খুজছেন তাঁরা।
দলীয় আদর্শের থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক উর্দ্ধে স্থান পায় ক্ষমতার স্বাদ। আর সেই লালসার অস্ত্রেই মুকুল রায় জখম করছেন তাঁর প্রাক্তন দলকে। তবে ব্যাপারটা কি খুব সহজ ছিল? সহজ উত্তর 'না'। কারন মুকুল রায় জখন তৃণমূলের হয়ে অন্য দলের ঘর ভাঙাতেন তখন তাঁর হাতে শাসকের ক্ষমতা ছিল, যার ফলে আদর্শচ্যুত ক্ষমতালোভিদের ক্রিড়নক করে শাসক দলে নিয়ে আসার কাজটা ছিল অনেক সহজ। কিন্তু শাসক দল থেকে বিরোধীদলে যোগদান করানোর জন্যে যথেষ্ট রাজনৈতিক পরিপক্কতা দরকার হয়।
অন্যকোন থেকে দেখলে, যে সমস্ত শাসক দলের সাংসদ বিধায়করা বিজেপি যোগদান করছেন তাঁরা কমবেশি মার্কেট স্টাডি নিশ্চিত ভাবেই করেছেন না হলে শাসক দল ছেড়ে মার খেতে বিরোধী দলে কেন? অনুপম হাজরা বা সৌমিত্র খানের কথাই ধরা যাক, নিজের নিজের এলাকায় এদের এমন দাপট নেই যে পুরনো আসনে জোড়া ফুলের বদলে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়ালে আবার জিতবেন। তাহলে এরা তৃণমূল ছাড়বেন কেন? ক্ষমতা ছাড়বেন কেন? শুধুমাত্র টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কায়? নাকি অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের মধুর ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন বলে!
অর্জুন সিং, কিছুদিন আগেও যে ভাষায় বিজেপিকে গালাগাল দিচ্ছিলেন তা মোটেই শ্রুতিমধুর নয়। যে মুকুল রায় কে আক্রমন করছিলেন কদর্য ভাবে সেই অর্জুন সিং আজ মুকুলের হাত ধরে বিজেপি নেতা। জামা বদলে গেছে, বদলে গেছে পরিচয়। কারন কি?
মনে রাখতে হবে কোন দলের হাতে ক্ষমতা আসতে গেলে লাগে জন সমর্থন, পশ্চিমবঙ্গে সরপঞ্জ না থাকলেও এলাকার দাদা বাম-তৃনমূল সব আমলেই দেখা যায়। দাদারা জামা বদলে ফেললেই ক্ষমতার হস্তান্তর। নতুন ভোটার গজিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে হারানো যায়না, বরং পুরোনো ভোটাররা মন পরিবর্তন করলেই ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। একটু অতীতে ফেরা যাক, ২০০৮ সাল। বাম জমানার পতনের শুরু, আর জামা বদলের শুরু সেখান থেকেই। হাতে নাতে ফল ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে।
ইঙ্গিত পাওয়া গেল ২০১১য় বাম দুর্গ পতনের। বাকিটা ইতিহাস, সবাই জানেন। যে দলকে পশ্চিমবঙ্গবাসী একবার ক্ষমতাচ্যুত করেছে তাঁরা আর মসনদে ফেরেনি বলছে ইতিহাস। কংগ্রেস তাঁর সব থেকে বড় প্রমাণ। কংগ্রেস নেতা নেত্রীরাই জামা বদলে তৃণমূল হয়ে এখন ক্ষমতায়, মানুষ না বদলালেও বদলেছিল সিম্বল। জনগন কিন্তু লালদূর্গ ধ্বংস করতে হাত ছেড়ে হাত ধরেছিল ঘাসফুলের। সেই সন্ধিক্ষন সম্ভবত আবার উপস্থিত, জামা বদল পক্ষান্তরে ক্ষমতা বদলেরই ইঙ্গিত নয়নি? তাই ২০০৯ সম্ভবত ফিরতে চলে ২০১৯ এ আর ২০১১ হয়ত ২০২১ এ। পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটকাতে? রাজ্য রাজনীতি তাকিয়ে থাকবে সেদিকেই।
ঘর ভাঙা শুরু করেছে বিজেপি। কংগ্রেস বাম তো বটেই সব থেকে বেশি ঘর ভাঙছে তৃণমূলের। যে তৃণমূল নেতারা নিজের নিজের এলাকায় দাপট দেখিয়ে বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি সরিয়ে দিয়েছিলেন সেই প্রবল বিরোধী বিজেপির ঘরে আশ্রয় খুজছেন তাঁরা।
দলীয় আদর্শের থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক উর্দ্ধে স্থান পায় ক্ষমতার স্বাদ। আর সেই লালসার অস্ত্রেই মুকুল রায় জখম করছেন তাঁর প্রাক্তন দলকে। তবে ব্যাপারটা কি খুব সহজ ছিল? সহজ উত্তর 'না'। কারন মুকুল রায় জখন তৃণমূলের হয়ে অন্য দলের ঘর ভাঙাতেন তখন তাঁর হাতে শাসকের ক্ষমতা ছিল, যার ফলে আদর্শচ্যুত ক্ষমতালোভিদের ক্রিড়নক করে শাসক দলে নিয়ে আসার কাজটা ছিল অনেক সহজ। কিন্তু শাসক দল থেকে বিরোধীদলে যোগদান করানোর জন্যে যথেষ্ট রাজনৈতিক পরিপক্কতা দরকার হয়।
অর্জুন সিং, কিছুদিন আগেও যে ভাষায় বিজেপিকে গালাগাল দিচ্ছিলেন তা মোটেই শ্রুতিমধুর নয়। যে মুকুল রায় কে আক্রমন করছিলেন কদর্য ভাবে সেই অর্জুন সিং আজ মুকুলের হাত ধরে বিজেপি নেতা। জামা বদলে গেছে, বদলে গেছে পরিচয়। কারন কি?
মনে রাখতে হবে কোন দলের হাতে ক্ষমতা আসতে গেলে লাগে জন সমর্থন, পশ্চিমবঙ্গে সরপঞ্জ না থাকলেও এলাকার দাদা বাম-তৃনমূল সব আমলেই দেখা যায়। দাদারা জামা বদলে ফেললেই ক্ষমতার হস্তান্তর। নতুন ভোটার গজিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে হারানো যায়না, বরং পুরোনো ভোটাররা মন পরিবর্তন করলেই ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। একটু অতীতে ফেরা যাক, ২০০৮ সাল। বাম জমানার পতনের শুরু, আর জামা বদলের শুরু সেখান থেকেই। হাতে নাতে ফল ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে।

No comments