সাংবিধানিক জ্ঞান নেই তাঁর! সর্বস্বান্ত আমানত কারীদের ধর্না ৮৭ দিনে পড়লো, কোথায় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা?
নজরবন্দি ব্যুরোঃ একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-র সাধারন সংবিধানের জ্ঞান থাকা ভীষণ ভাবে প্রয়োজনীয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত যে নাটক ধর্মতলায় চলল তা কার স্বার্থে? সিবিআই দেশের অন্যতম শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা যে চাইলে যখন তখন কাউকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। সংবিধান টা যারা ভাল বোঝেন তারা জানেন সিবিআই এর সেই অধিকার আছে।
সেখানে কোন স্থান কাল পাত্র বলে ব্যাপার নেই। সাংবিধানিক সঙ্কট সিবিআই তৈরী করেনি করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সিবিআই কে তার কাজে বাঁধা দেওয়া আইনত অপরাধ! না এই বক্তব্য আমাদের নয় রাজ্যের অন্যতম আইন বিশারদ, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং যার হাত থেকেই ২জি কেলেঙ্কারির রায় বেরিয়েছিল সেই অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এবার আসা যাক মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ধর্না প্রসঙ্গে। এই ধর্ণা কেন? সাংবিধানিক সঙ্কট বাঁচাতে? না রাজ্যের একজন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের প্রতি অবিচারের প্রতি সুবিচারের আশা?
এখানেই প্রশ্ন ওঠে চিটফান্ডে টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। এরকমই প্রতারিত আমানত কারীরা সুবিচারের আশায় ধর্নায় বসেছেন। অথচ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই সরকারের বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোজভ্যালিতে টাকা রেখে নিজেদের সঞ্চিত সর্বস্ব হারিয়েছেন বহু আমানত কারী। টাকা ফেরত পাওয়া এবং সুবিচারের দাবিতে দীর্ঘ ৮৭ দিন ধরে ধর্নায় বসেছেন আমানত সর্বস্বান্ত কারীরা। গত ১২ নভেম্বর ২০১৮ থেকে কলকাতার মিন্টু পার্কে পার্ক প্রাইম হোটেলের সামনে ফুটপাথে চলছে ধর্না। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্যেও দেখা করেননি তাদের সাথে। এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের অপমান বলে দাবি করেছেন সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্য বাজেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় এই ধর্নার বিষয়টি তুলে ধরে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।

No comments