শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ নয়, প্রশ্নফাঁসে CID তদন্তের নির্দেশ রাজ্যের। গ্রেফতার পাঁচ!
এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ব্যার্থতাকে একহাত নিয়েছেন সিপিআইএম নেতা তথা বিধানসভার বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন "অপদার্থ ওয়ার্থলেস একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার চলছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় স্কুল কমিটিগুলো একমুখী মনোভাবে চলছে। সবটাই তো শাসক দল তার বাইরে কিছু না।" পাশাপাশি লাগাতার চারদিন প্রশ্ন ফাঁসের মত ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে পদত্যাগ দাবি করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কে অবিলম্বে পদচ্যুত করা উচিত"।
অন্যদিকে রাজ্য এই ঘটনায় CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে গঠন হয়েছে সিট। প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে সন্দেহভাজন ৫ জন কে বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, কিন্তু তাতে যে সেরকম কাজ হয়নি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।কি কি ছিল সেই নিয়ম? পরীক্ষার্থীদের জন্যে নিয়মঃ কেউ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না। মোবাইল ধরা পড়লে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। খাতা RA করা হবে এবং পরীক্ষার পর ধরা পড়লে উত্তরপত্র RA করা হবে।
শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী-দের জন্যে নিয়মঃ মোবাইল সুইচ অফ করে প্রধান শিক্ষকের ঘরের আলমারিতে রাখতে হবে। যার চাবি থাকবে প্রধান শিক্ষকদের কাছে।
প্রশ্ন উঠছে কি ভাবে পরীক্ষা গ্রহন চলছে? কেমন ভাবেই বা দেওয়া হচ্ছে গার্ড? তবে কি ইচ্ছাকৃত ভাবে সর্বসম্মতিতেই ঘটছে প্রশ্ন ফাঁসের মত ঘটনা?

No comments