১৩ বছরে ৭৩ বার বনধ ডেকে 'কর্মসংস্কৃতি' ফিরিয়ে এখন বনধ বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা!!
নজরবন্দি ব্যুরোঃ কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করে দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলি। তাতে সমর্থন দিয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সমস্ত রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ডাকা বনধকে ব্যর্থ করতে এতো তৎপর কেন রাজ্যের তৃণমূল সরকার?
তৃণমূল সরকারের তরফে বারবার বলা হয়, সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে সরকার। অথচ কেন্দ্রে বিজেপির শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরোধিতায় বনধে যখন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল এককাট্টা তখন সেই বনধ বানচাল করতে রীতিমতো পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে ময়দানে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সরকারের তরফে বনধের বিরোধিতার কারণ হিসেবে বলেছে, ধর্মঘট কর্মসংস্কৃতির বিরোধী।
অথচ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৭৩ বার বনধ ডেকেছে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রতিবাদে একের পর এক সরকারি বাস জালিয়ে দিয়েছে। ২০০৭ এ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেও বনধ ডাকে তৃণমূল। অথচ সেই দলই আজ বনধকে কর্মনাশা তকমা দিয়ে বিজেপি সরকারের সমর্থনে মেতে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র মন্তব্য করেছেন, মুখে বিরোধিতার কথা বললেও রাজ্যে বিজেপির সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী তৃণমূল। তবে এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, লাঠির ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। সেই ভয়কে উপেক্ষা করেই বনধ হচ্ছে, হবেও। আঘাত এলে প্রত্যাঘাত দিতে তৈরি বামেরা।
তৃণমূল সরকারের তরফে বারবার বলা হয়, সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে সরকার। অথচ কেন্দ্রে বিজেপির শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরোধিতায় বনধে যখন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল এককাট্টা তখন সেই বনধ বানচাল করতে রীতিমতো পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে ময়দানে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সরকারের তরফে বনধের বিরোধিতার কারণ হিসেবে বলেছে, ধর্মঘট কর্মসংস্কৃতির বিরোধী।
কোন মন্তব্য নেই