হিট বুদ্ধ,অক্ষর,হৃদয় জেতার যুদ্ধে সিপিএমের টেক্কা তৃণমূল বিজেপিকে৷
অরুনাভ সেনঃ বইপড়ার অমোঘ নেশা এখনও বাঙালির অস্থি,মজ্জায় বলা ভাল রন্ধ্রে,রন্ধ্রে৷নিন্দুক বলেন এব্যাপারে বামপন্থীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধীদের থেকে বরাবর অনেক এগিয়েই থাকেন এবং তারা বইয়ের সিরিয়াস পাঠক৷জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি,ইতিহাস,অর্থনীতি,দর্শন,বিজ্ঞান,সাহিত্য সহ যেকোন বই সর্বদা গভীর আগ্রহ সহকারে পড়তে বামেরা ভালবাসেন,স্বভাবত বই তাদের আকৃষ্ট করবে এটাই দস্তুর বা স্বাভাবিক৷নিন্দুক বলেন বামেরা বরাবর পড়েন বলেই হয়ত তাদের চেতনা সবসময় উন্নত৷সবকিছু যুক্তি দিয়েই তারা বিচার করেন,এবং যুক্তি দিয়েই রাজনৈতিক আক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করেন৷সম্ভবত সেই কারনেই বইয়ের প্রতি,লেখাপড়ার প্রতি বরাবরই বামেদের অনুরাগ তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধীরা ঈর্ষার চোখে দেখেন৷আসলে এত গৌরচন্দ্রিকা করতে হয়ত হতনা
যদি না লেখকের ‘নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু’ পুজো শুরু হতেই পুজোর স্টলে সে বই নিঃশেষিত না হয়ে যেত৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যের সব শ্রেনীর মানুষের শ্রদ্ধা,ভাললাগাকে বিশেষনের পর বিশেষন প্রয়োগ করে সম্ভবত বোঝানো সম্ভব না৷ এখনও অসংখ্য রাজনীতি সচেতন মানুষের নয়ণের মণি তিনি,সক্রিয় রাজনীতিতে না থেকেও ব্যক্তিপুজোয় বিশ্বাসী নয় বামপন্থীদের তিনি গর্ব,অহঙ্কার৷ বলা বাহুল্য সেই মানুষটি শারীরিক অসুস্থতা অগ্রাহ্য করে কি লিখেছেন সেটা পড়ার ব্যাপারে কৌতুহল থাকবে আবালবৃদ্ধ বনিতার এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু বই প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এভাবে শেষ হওয়াকে কিভাবে কয়েকটি শব্দ ও বাক্যের সমন্বয়ে বর্ননা করা সম্ভব?প্রবল জনপ্রিয়তা না থাকলে এভাবে কারো লেখা বই হুহু করে বিক্রি হয়না,বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষের বই পড়ার অভ্যাস কমেছে বলে অনুযোগ করেন অনেকেই৷তাহলে কেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইয়ের একটা কপি সংগ্রহ করে পড়ার জন্য মানুষ এত উগগ্রীব হয়ে উঠেছেন?কেন সবাই জানতে আগ্রহী কি লিখলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?যারা বইটি সংগ্রহ করে পড়েছেন তারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন,যারা পারেন নি তারা এখনও হন্যে হয়ে খুঁজছেন যদি একটি কপি কারো কাছে চেয়ে চিন্তে কোনও ভাবে ম্যানেজ করে পড়া যায়৷এই উদ্দীপনা,আবেগ এগুলো কি স্তাবক পরিবেষ্টিত রাজনীতিতে সম্ভব!মানুষের নিখাদ ভালবাসা,শ্রদ্ধা না থাকলে একজন রাজনীতিবিদের লেখা বই নিয়ে এমন উদ্দীপনা, আবেগ তৈরি হয়না৷আসলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কেবল বামেদের নয় রাজনীতি সচেতন এই বাংলার অসংখ্য শিরদাঁড়া সোজা মানুষের হার্টথ্রব,ভালবাসার মানুষ,শ্রদ্ধার মানুষ৷রাজনীতি সম্পর্কে যখন একপ্রকার অনীহা প্রকাশ করেন বর্তমান প্রজন্মের অনেক মানুষ,তখন বুদ্ধবাবুর লেখা বই বাজারে আসামাত্রই শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রমান হয় সক্রিয় রাজনীতিতে উপস্থিতি না থাকা সত্বেও জনপ্রিয়তায় এখনও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ধারে কাছে অনেকেই নেই৷
নিন্দুক অবশ্য অনেক কথা বলে, জনসমক্ষে না থাকাই নাকি বুদ্ধবাবুকে নিয়ে কৌতূহলই তাঁর বইয়ের প্রতি বাড়তি আগ্রহের অন্যতম কারণ।এই যুক্তি আদৌ ধোপে টেকে না,কারন জনসমক্ষে কোন রাজনৈতিক নেতা থাকলেন না,অথচ তার লেখা বই পড়তে,কিনতে,সংগ্রহে রাখতে মানুষ শহরের সারা প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন,কোনও রাজনীতিবিদ প্রবল জনপ্রিয় না হলে তার লেখা একটা বইয়ের জন্য সারা কলকাতা শহরটা এভাবে কেউ ঘুরে বেড়াবেন,এমনটা হয় নাকি!হয় যদি মানুষটা প্রবল জনপ্রিয় হন,যদি মানুষটার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা আর আর ভালবাসায় কোনও খাদ না থাকে,যদি মানুষ মনে করেন তার লেখা বইয়ে হয়ত মিলবে কোনও বার্তা৷বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা বই প্রবল জনপ্রিয় হওয়ায় কার্যত বিড়ম্বনা বেড়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির৷তারাও স্টল দিয়েছে কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা বইয়ের প্রবল জনপ্রিয়তা এবং সাধারন মানুষের বইটি পড়ার আগ্রহ বা উদ্দীপনার সঙ্গে তৃণমূল কিংবা বিজেপির কোনও পুস্তক কি এবারের পুজোয় জনপ্রিয়তায়,স্টলে আসা মাত্র নিঃশেষিত হওয়া,লোকের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কেনার আগ্রহ,বা সারাজীবনের জন্য সংগ্রহ করে রাখার উদ্দীপনা, উৎসাহে বুদ্ধবাবুর লেখা বইকে চ্যালেঞ্জ করতে পারলো কি! অন্তত বইটির হুহু করে বিক্রি হওয়া, মানুষের আবেগ ও আগ্রহ যদি মাপকাঠি হয় তবে বলতেই হবে এবারের পুজোয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের 'নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু' স্টলে আসা মাত্র প্রায় সাথে সাথে নিঃশেষিত হওয়ায় সিপিএম কার্যত অক্ষর ও মানুষের হৃদয় জেতার যুদ্ধে টেক্কা দিল তৃণমূল ও বিজেপিকে৷ শারদীয়ায় সিপিএমের বই বিপণি এবং বিপণনে, দু’টোর অঙ্কই বেড়েছে এটা নিশ্চিতভাবে সিপিএম নেতৃত্বকে স্বস্তি দেবে৷ রাজ্যে তাদের হাজারের বেশি স্টল প্রমান করছে বামেরা এখনও পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করেন নি৷সর্বোপরি যতেষ্ট সাংগঠনিক দূর্বলতা থাকা সত্বেও এখন পার্টি অন্ত প্রাণ অসংখ্য মানুষ আছেন,যাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া রাজ্যে হাজারের বেশি স্টল খুলতে পারতেন না সিপিএম নেতৃত্ব৷
শহরে সঙ্ঘ-বিজেপির স্টল হয়েছে গোটা পঞ্চাশ, সারা রাজ্যে প্রায় ৫০০৷ কিন্তু অক্ষরের যুদ্ধ এবং মানুষের বই কেনার আগ্রহ ও হৃদয় জেতার যুদ্ধে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ' নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু' জনপ্রিয়তা এবং কেনার আগ্রহ যেভাবে সিপিএমের প্রতিদ্বন্ধী রাজনৈতিক দলগুলিকে পিছনে ফেলে দিল নিশ্চিত ভাবে হাসি চওড়া হবে সিপিএম নেতৃত্বের৷বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইয়ের প্রবল জনপ্রিয়তায় তারা পুনরায় বিশ্বাস করবেন বামপন্থীরা আজও জনপ্রিয়,বাম রাজনীতির প্রতি বাংলার মানুষের আগ্রহ আজও অটুট,কেবল চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী মানুষদের আবার সংঘবদ্ধ করার কাজটা এবার নব উদ্যোমে শুরু করুক বাম নেতৃত্ব৷
যদি না লেখকের ‘নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু’ পুজো শুরু হতেই পুজোর স্টলে সে বই নিঃশেষিত না হয়ে যেত৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যের সব শ্রেনীর মানুষের শ্রদ্ধা,ভাললাগাকে বিশেষনের পর বিশেষন প্রয়োগ করে সম্ভবত বোঝানো সম্ভব না৷ এখনও অসংখ্য রাজনীতি সচেতন মানুষের নয়ণের মণি তিনি,সক্রিয় রাজনীতিতে না থেকেও ব্যক্তিপুজোয় বিশ্বাসী নয় বামপন্থীদের তিনি গর্ব,অহঙ্কার৷ বলা বাহুল্য সেই মানুষটি শারীরিক অসুস্থতা অগ্রাহ্য করে কি লিখেছেন সেটা পড়ার ব্যাপারে কৌতুহল থাকবে আবালবৃদ্ধ বনিতার এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু বই প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এভাবে শেষ হওয়াকে কিভাবে কয়েকটি শব্দ ও বাক্যের সমন্বয়ে বর্ননা করা সম্ভব?প্রবল জনপ্রিয়তা না থাকলে এভাবে কারো লেখা বই হুহু করে বিক্রি হয়না,বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষের বই পড়ার অভ্যাস কমেছে বলে অনুযোগ করেন অনেকেই৷তাহলে কেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইয়ের একটা কপি সংগ্রহ করে পড়ার জন্য মানুষ এত উগগ্রীব হয়ে উঠেছেন?কেন সবাই জানতে আগ্রহী কি লিখলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?যারা বইটি সংগ্রহ করে পড়েছেন তারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন,যারা পারেন নি তারা এখনও হন্যে হয়ে খুঁজছেন যদি একটি কপি কারো কাছে চেয়ে চিন্তে কোনও ভাবে ম্যানেজ করে পড়া যায়৷এই উদ্দীপনা,আবেগ এগুলো কি স্তাবক পরিবেষ্টিত রাজনীতিতে সম্ভব!মানুষের নিখাদ ভালবাসা,শ্রদ্ধা না থাকলে একজন রাজনীতিবিদের লেখা বই নিয়ে এমন উদ্দীপনা, আবেগ তৈরি হয়না৷আসলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কেবল বামেদের নয় রাজনীতি সচেতন এই বাংলার অসংখ্য শিরদাঁড়া সোজা মানুষের হার্টথ্রব,ভালবাসার মানুষ,শ্রদ্ধার মানুষ৷রাজনীতি সম্পর্কে যখন একপ্রকার অনীহা প্রকাশ করেন বর্তমান প্রজন্মের অনেক মানুষ,তখন বুদ্ধবাবুর লেখা বই বাজারে আসামাত্রই শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রমান হয় সক্রিয় রাজনীতিতে উপস্থিতি না থাকা সত্বেও জনপ্রিয়তায় এখনও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ধারে কাছে অনেকেই নেই৷
নিন্দুক অবশ্য অনেক কথা বলে, জনসমক্ষে না থাকাই নাকি বুদ্ধবাবুকে নিয়ে কৌতূহলই তাঁর বইয়ের প্রতি বাড়তি আগ্রহের অন্যতম কারণ।এই যুক্তি আদৌ ধোপে টেকে না,কারন জনসমক্ষে কোন রাজনৈতিক নেতা থাকলেন না,অথচ তার লেখা বই পড়তে,কিনতে,সংগ্রহে রাখতে মানুষ শহরের সারা প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন,কোনও রাজনীতিবিদ প্রবল জনপ্রিয় না হলে তার লেখা একটা বইয়ের জন্য সারা কলকাতা শহরটা এভাবে কেউ ঘুরে বেড়াবেন,এমনটা হয় নাকি!হয় যদি মানুষটা প্রবল জনপ্রিয় হন,যদি মানুষটার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা আর আর ভালবাসায় কোনও খাদ না থাকে,যদি মানুষ মনে করেন তার লেখা বইয়ে হয়ত মিলবে কোনও বার্তা৷বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা বই প্রবল জনপ্রিয় হওয়ায় কার্যত বিড়ম্বনা বেড়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির৷তারাও স্টল দিয়েছে কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা বইয়ের প্রবল জনপ্রিয়তা এবং সাধারন মানুষের বইটি পড়ার আগ্রহ বা উদ্দীপনার সঙ্গে তৃণমূল কিংবা বিজেপির কোনও পুস্তক কি এবারের পুজোয় জনপ্রিয়তায়,স্টলে আসা মাত্র নিঃশেষিত হওয়া,লোকের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কেনার আগ্রহ,বা সারাজীবনের জন্য সংগ্রহ করে রাখার উদ্দীপনা, উৎসাহে বুদ্ধবাবুর লেখা বইকে চ্যালেঞ্জ করতে পারলো কি! অন্তত বইটির হুহু করে বিক্রি হওয়া, মানুষের আবেগ ও আগ্রহ যদি মাপকাঠি হয় তবে বলতেই হবে এবারের পুজোয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের 'নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু' স্টলে আসা মাত্র প্রায় সাথে সাথে নিঃশেষিত হওয়ায় সিপিএম কার্যত অক্ষর ও মানুষের হৃদয় জেতার যুদ্ধে টেক্কা দিল তৃণমূল ও বিজেপিকে৷ শারদীয়ায় সিপিএমের বই বিপণি এবং বিপণনে, দু’টোর অঙ্কই বেড়েছে এটা নিশ্চিতভাবে সিপিএম নেতৃত্বকে স্বস্তি দেবে৷ রাজ্যে তাদের হাজারের বেশি স্টল প্রমান করছে বামেরা এখনও পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করেন নি৷সর্বোপরি যতেষ্ট সাংগঠনিক দূর্বলতা থাকা সত্বেও এখন পার্টি অন্ত প্রাণ অসংখ্য মানুষ আছেন,যাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া রাজ্যে হাজারের বেশি স্টল খুলতে পারতেন না সিপিএম নেতৃত্ব৷
শহরে সঙ্ঘ-বিজেপির স্টল হয়েছে গোটা পঞ্চাশ, সারা রাজ্যে প্রায় ৫০০৷ কিন্তু অক্ষরের যুদ্ধ এবং মানুষের বই কেনার আগ্রহ ও হৃদয় জেতার যুদ্ধে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ' নাৎসি জার্মানির জন্ম ও মৃত্যু' জনপ্রিয়তা এবং কেনার আগ্রহ যেভাবে সিপিএমের প্রতিদ্বন্ধী রাজনৈতিক দলগুলিকে পিছনে ফেলে দিল নিশ্চিত ভাবে হাসি চওড়া হবে সিপিএম নেতৃত্বের৷বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইয়ের প্রবল জনপ্রিয়তায় তারা পুনরায় বিশ্বাস করবেন বামপন্থীরা আজও জনপ্রিয়,বাম রাজনীতির প্রতি বাংলার মানুষের আগ্রহ আজও অটুট,কেবল চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী মানুষদের আবার সংঘবদ্ধ করার কাজটা এবার নব উদ্যোমে শুরু করুক বাম নেতৃত্ব৷