নতুন বিদেশির প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে চরম অপেশাদারিত্বের নজির গড়ল ইস্টবেঙ্গল!
নজরবন্দি ব্যুরোঃ দোভাষীর অভাবে ইস্টবেঙ্গলের 'মহাতারকা' বিদেশির প্রথম সরকারি সাংবাদিক সম্মেলন ভেস্তেই গেল। দিন দুয়েক আগে ক্লাবের তরফে অ্যাকস্টার সাংবাদিক সম্মেলনের দিন জানানো হয়েছিল। কোস্টা রিকান ফুটবলারের ভাষা সমস্যা রয়েছে, সেটা অনেক আগে থেকেই কর্তাদের জানা। অথচ এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লাবের তরফে কোনও দোভাষী রাখা হয়নি।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্পনসর কোয়েসের তরফে হাজির ছিলেন নবনিযুক্ত সিইও সঞ্জিত সেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে ভাবখানা এমন করছিলেন যেন তিনিই দোভাষী। প্রথম প্রশ্ন করার পর অ্যাকস্টাকে জিজ্ঞেস না করে সঞ্জিতই উত্তর দিতে শুরু করেন। সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় তিনি কেন উত্তর দিচ্ছেন? তারপরই তিনি মোবাইলে গুগল ট্রান্সলেটর খুলে ফেেলন। কিন্তু, মিডিয়া রুমে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ না করায় গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্য পেতে ব্যর্থ হন। সব দেখেশুনে মিটিমিটি হাসছিলেন বিশ্বকাপার। প্রেস কনফারেন্সের শুরুতে সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত ও সচিব কল্যাণ মজুমদার ২ নম্বর জার্সি এবং লাল-হলুদ উত্তরীয় তুলে দেন বিশ্বকাপারের হাতে। জার্সি হাতে, হাসি মুখে চিত্রসাংবাদিকদের পোজ দেন লাল-হলুদের বিশ্বকাপার।
তারপরই এই বিপত্তি। কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সাংবাদিক সম্মেলন মিডিয়া রুমের উল্টোদিকের ঘরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এরই মাধ্যে আলভিটো ডি'কুনহাকে হাজির করিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, আলভিটো পর্তুগিজ জানেন। অ্যাকস্টা স্প্যানিশ ছাড়া কিছুই বোঝেন না। অ্যাকস্টার এজেন্টকে ফোনে ধরার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।
গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে যেটুকু কথা অ্যাকস্টার বোঝা গেছে, তাতে লাল-হলুদ সমর্থকরা প্রথম দিনই তঁার মন ছুঁয়ে গেছে। বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল-পশ্চিমবঙ্গ পুলিস ম্যাচটা আকর্ষণীয় হয়েছে। ম্যাচের থেকেও সমর্থকরা আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে।' রাশিয়ার মাঠে খেলে আসার পর ইস্টবেঙ্গল মাঠ কেমন লেগেছে? প্রশ্নটা গুগল ট্রান্সলেটরে দেখে প্রথমে একচোট হেসে ফেলেন। হাসি থামিয়ে পেশাদার ভঙ্গিতে জানান, 'ইটস নর্মাল'। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে কোনও ধারণা? 'কার্লোস হার্নান্ডেজ (কলকাতায় ইউনাইটেডের হয়ে খেলে গেছেন) এবং মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ আন্দ্রে গুইমারেসের থেকে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে জেনেছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনেক ঐতিহ্য আছে। গ্রেট ক্লাব।
আলভিটোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। চুক্তির শর্ত পছন্দ হওয়ায় সই করলাম।' অনেক কষ্টে মিনিট ১৫ অ্যাকস্টার সাংবাদিক বৈঠক চলার পর তা বাতিল হয়। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.৩০ দোভাষী নিয়ে অ্যাকস্টা ফের মুখোমুখি হবেন সাংবাদিকদের।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্পনসর কোয়েসের তরফে হাজির ছিলেন নবনিযুক্ত সিইও সঞ্জিত সেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে ভাবখানা এমন করছিলেন যেন তিনিই দোভাষী। প্রথম প্রশ্ন করার পর অ্যাকস্টাকে জিজ্ঞেস না করে সঞ্জিতই উত্তর দিতে শুরু করেন। সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় তিনি কেন উত্তর দিচ্ছেন? তারপরই তিনি মোবাইলে গুগল ট্রান্সলেটর খুলে ফেেলন। কিন্তু, মিডিয়া রুমে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ না করায় গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্য পেতে ব্যর্থ হন। সব দেখেশুনে মিটিমিটি হাসছিলেন বিশ্বকাপার। প্রেস কনফারেন্সের শুরুতে সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত ও সচিব কল্যাণ মজুমদার ২ নম্বর জার্সি এবং লাল-হলুদ উত্তরীয় তুলে দেন বিশ্বকাপারের হাতে। জার্সি হাতে, হাসি মুখে চিত্রসাংবাদিকদের পোজ দেন লাল-হলুদের বিশ্বকাপার।
তারপরই এই বিপত্তি। কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সাংবাদিক সম্মেলন মিডিয়া রুমের উল্টোদিকের ঘরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এরই মাধ্যে আলভিটো ডি'কুনহাকে হাজির করিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, আলভিটো পর্তুগিজ জানেন। অ্যাকস্টা স্প্যানিশ ছাড়া কিছুই বোঝেন না। অ্যাকস্টার এজেন্টকে ফোনে ধরার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।
গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে যেটুকু কথা অ্যাকস্টার বোঝা গেছে, তাতে লাল-হলুদ সমর্থকরা প্রথম দিনই তঁার মন ছুঁয়ে গেছে। বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল-পশ্চিমবঙ্গ পুলিস ম্যাচটা আকর্ষণীয় হয়েছে। ম্যাচের থেকেও সমর্থকরা আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে।' রাশিয়ার মাঠে খেলে আসার পর ইস্টবেঙ্গল মাঠ কেমন লেগেছে? প্রশ্নটা গুগল ট্রান্সলেটরে দেখে প্রথমে একচোট হেসে ফেলেন। হাসি থামিয়ে পেশাদার ভঙ্গিতে জানান, 'ইটস নর্মাল'। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে কোনও ধারণা? 'কার্লোস হার্নান্ডেজ (কলকাতায় ইউনাইটেডের হয়ে খেলে গেছেন) এবং মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ আন্দ্রে গুইমারেসের থেকে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে জেনেছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনেক ঐতিহ্য আছে। গ্রেট ক্লাব।
আলভিটোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। চুক্তির শর্ত পছন্দ হওয়ায় সই করলাম।' অনেক কষ্টে মিনিট ১৫ অ্যাকস্টার সাংবাদিক বৈঠক চলার পর তা বাতিল হয়। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.৩০ দোভাষী নিয়ে অ্যাকস্টা ফের মুখোমুখি হবেন সাংবাদিকদের।
