Header Ads

রাজ্যে বিজেপির ভাঙন! তৃণমূলের সঙ্গে গট-আপ খেলার অভিযোগ দলের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে।

নজরবন্দি ব্যুরো: ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে আলিপুরদুয়ারে বিজেপিতে বিক্ষোভ আরও তীব্র হল। দলীয় কোন্দলে জেরবার আলিপুরদুয়ার বিজেপি বড় ভাঙ্গনের মুখে পড়তে চলেছে। দলীয় কার্যালয়ে একটি লাভ জিহাদের ঘটনাকে আশ্রয় এবং প্রত্যক্ষভাবে প্রশ্রয় দেওয়া,
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় তহবিলের অপব্যবহার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা কমিটির সমস্ত সিদ্ধান্ত ও কার্যকলাপে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, এমনকি বিজেপির জেলা সভাপতিকে তৃণমূলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা, অবিলম্বে জেলা সভাপতির পরিবর্তন চাওয়া ইত্যাদি নানা অভিযোগ ও ইস্যুতে আলিপুরদুয়ার বিজেপি জেলা কমিটির সঙ্গে দলের সর্ববৃহৎ অংশটির তীব্র কোন্দল এবার প্রকাশ্যে।

আরও একটি ঘটনা আগুনে ঘি পড়ার মত কাজ করেছে, যেমন যে সমস্ত প্রভাবশালী নেতারা দলীয় কার্যালয়ে লাভ জিহাদ আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরিপূর্ণভাবে দলের স্বার্থে কাজ করেছেন সম্প্রতি তাদের সাত আট জনকে প্রতিশোধমূলক ভাবে জেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তা'র মধ্যে সমগ্র ওবিসি মোর্চা ভেঙে দেওয়াতে ওই ওবিসি মোর্চার নেতা শ্যামল নাথ প্রায় পাঁচ হাজার লোক নিয়ে কয়েকদিন আগে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এতে আলিপুরদুয়ার জেলায় ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনের মধ্যে জেলা বিজেপির বিপক্ষে তীব্র জনমত গড়ে উঠেছে। শ্যামল নাথ পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসা অর্থ বুথ কমিটিগুলোকে খরচের জন্য না দেওয়ার তীব্র অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে চলে আসে,। যদিও গঙ্গাপ্রসাদ বারবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন বিজেপি ছেড়ে যারা চলে যাচ্ছেন তা'তে তার কোন ক্ষতি হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

আলিপুরদুয়ারের এক বিজেপি নেতা জানালেন এখন পর্যন্ত তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গরিষ্ঠতা পেয়েও বিজেপি বোর্ড গঠন না করতে পারার পিছনেও গঙ্গাপ্রসাদ ও তাঁর গ্রুপের তৃণমূল প্রীতিই দায়ী। তিনি আরও বলেন যে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে চললে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে নিশ্চিত হারের মুখ দেখতে হবে। যদিও বিক্ষুব্ধ নেতারা লিখিতভাবে সমস্ত ঘটনা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.