আপারে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি যুক্তিসঙ্গত! বাড়তে চলেছে কি সেই শূন্যপদ? কোন পথে আপার-ভাগ্য?
নজরবন্দি ব্যুরোঃ আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে ভোটের আগেই, এমনই ছাড়পত্র দিয়েছে হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফেও সেই মতো নিয়োগে আগ্রহ দেখানো হয়। তবে সেই নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একাধিক জটিলতা।
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যুক্তি এখন ইন্টারভিউ হলেও নিয়োগ পত্র পাওয়া সম্ভব না। তাই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়াই ভালো। সমস্যা শুধু এখানেই নয়। মাত্র ১২ হাজার ৬০০ শূন্যপদে নয়, আরও অনেক বেশি সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে আপার প্রাইমারিতে, দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন এসএসসি চাকরি প্রার্থী মঞ্চ।
আপার প্রাইমারিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোয় ২০১৪ সালে। এরপর ২০১৫ য় লিখিত টেট পরীক্ষা হয় এবং ফল প্রকাশিত হয় ২০১৭ র ১৪ সেপ্টেম্বর। ফল প্রকাশ হয়। কিন্তু তারপর দীর্ঘ সময় পার হলেও হয়নি নিয়োগ। এদিকে ২০১৪ র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শূন্যপদ ১৫ হাজার। ২০১৮ মে মাসে যখন আপারের নিয়োগ সংক্রান্ত রায় দেয় আদালত তখন এই ১৫ হাজার শূন্যপদ অনেকটাই বেড়ে গেছে।
পাল্লা দিয়ে বিপুল সংখ্যায় বেড়েছে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা। তাই শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষনা হওয়া উচিৎ, দাবি তুলেছেন চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চ। প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬০ জন টেট পাশ চাকরি প্রার্থী আপার প্রাইমারিতে ইন্টারভিউতে ডাক পাওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করেছেন। এর থেকেই পরিষ্কার, চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা কতটা বেড়েছে।
এসএসসি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি রাজা নন্দীর বক্তব্য অনুযায়ী, বাম আমলে প্রতি বছর এসএসসি-র মাধ্যমে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার পদে নিয়োগ হত। এখন তা বন্ধ। বেকার হয়ে দিন কাটাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। এর সুবিচার চাই। তাদের দাবি, বাড়াতেই হবে শূন্যপদের সংখ্যা। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, শূন্যপদ বাড়ানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীরা তাকিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের দিকে। শূন্যপদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো বিশেষ সিদ্ধান্ত দেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী, অপেক্ষায় হবু শিক্ষকরা।
Loading...

No comments