Header Ads

"মাষ্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি"!কিন্তু এই মাষ্টার দেখেছেন কাকে বলে তাঁবেদারি আর ভোট লুঠ। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে ভোট মানে এক আতঙ্ক সাধারণ মানুষের কাছে। বিশেষ করে যাদের ভোটে ডিউটি পড়ে তাদের কাছে তো বটেই। ভোটের ডিউটি দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন শিক্ষক রাজকুমার রায়। এরকমই আরেক শিক্ষক জানালেন ভোটে ডিউটি দিতে গিয়ে তার দুরবস্থার কথা।

পেশায় শিক্ষক রাকেশ কুন্ডুর ভোটে ডিউটি পড়ে গঙ্গারামপুর ব্লকের অধীন শুকদেবপাড়া পঞ্চায়েতের পাঠানপাড়া বুথে। তিনি জানান, ভোটের আগের দিনই বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যাওয়া হয় ১১টার মধ্যে ভোট সম্পূর্ণ করার জন্য। পরদিন অবাধে চলতে থাকে ছাপ্পা ভোট। রাত ৮টায় দায়িত্ব শেষ করে বাড়ি যাওয়ার উদ্যোগ করতে থাকেন প্রত্যেকে। কিন্তু রাত প্রায় ১১টা বাজতে চললেও কোনো গাড়ি দেওয়া হয়নি তাদের ফেরার জন্য। বেশ কয়েকজন ভোটকর্মী এই ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।





সেই সময়ে এক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ওই সমস্ত শিক্ষকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা না করে উলটে তাদের 'গুন্ডা' বলে তিরস্কার করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান তিনি এবং আরও বেশ কয়েকজন। এরপরেই ওই শিক্ষককে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি বিডিও-র ঘরে ঢুকিয়ে চড়, ঘুষি, থাপ্পর চলতে থাকে।

বিডিও, জয়েন্ট বিডিও এবং এসইও তাকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন বলে অভিযোগ জানান ওই শিক্ষক। কেড়ে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স। অবশেষে তাকে জোর করে ক্ষমা চাওয়ানো হয় সকলের সামনে। এখানেই লাঞ্চনার শেষ নয়। তাকে হুমকি দেওয়া হয়, বাইরে কাউকে এসব জানালে তার 'চাকরি খেয়ে নেওয়া হবে'। ফিরে এসে চিকিৎসা করানোর পর এখন কিছুটা ভালো আছেন ওই শিক্ষক।

ভোটের ডিউটি দিতে গিয়ে একের পর এক শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এই ধরণের ঘটনাকে নিন্দা করে ভোট এবং তার কর্মসূচি থেকে দূরে থাকার কথা ঘোষনা করতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, ভোটের ডিউটি দিতে গেলে থেকে যাচ্ছে প্রাণের ঝুকি। সেই দায়িত্ব কে নেবে? গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক রাজ্যে জনসাধারণের এই ভোট-আতঙ্ক সরকারের কাছে চূড়ান্ত লজ্জার, তা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না।

Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.