Header Ads

তৃণমূল-বিজেপি মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ! বাম-কংগ্রেস জোট সময়ের অপেক্ষা।নতুন দায়িত্বে ওমপ্রকাশ। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোট বার্তা আগেই ছিল বামেদের প্রতি এবার যেন আরও তা পরিষ্কার করে দিলেন কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। উল্লেখ্য কংগ্রেস একাধিক বার সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্যে সমর্থন দিতে চেয়েছিল কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা মেনে সীতারাম রাজ্যসভায় যাননি। কিন্তু তাতে সীতারাম ইয়েচুরি বা সিপিআইএমের গ্রহনযোগ্যতা একটুও যে কমেনি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তা প্রমাণিত হয়েছে কর্নাটকের শপথ গ্রহন মঞ্চে!

প্রথমে শপথ গ্রহনের দিন স্থির হয়ে গেলেও ওই নির্দিষ্ট দিনে রাজীব গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকী এবং সিপিআই(এম) এর পলিটব্যুরোর মিটিং থাকায় ইয়েচুরি ব্যস্ত থাকবেন এই কারণে দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান। পরে শপথ গ্রহনের দিনে মঞ্চ হয়ে ওঠে বিজেপি বিরোধী জোটের মঞ্চ। রাহুল গান্ধী এবং সীতারাম ইয়েচুরিকে পাশাপাশি জোটবদ্ধ হাত তুলে জনতার দিকে দেখাতে দেখা যায়।
এদিকে কিছুদিন আগেই সিপিআইএম পার্টি কংগ্রেস থেকে ইঙ্গিত দেয় বিজেপি কে দেশ থেকে হটাতে কংগ্রেসের সাথে জোট হতেই পারে।

অন্যদিকে বিশেষ কিছু মিডিয়া নতুন তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসে যে বিজেপি-কে হারাতে সর্বভারতীয় স্তরে নাকি তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে জোট করতে হবে। কর্ণাটকের ঘটনার পর নতুন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা! এদিন সি পি ‌আই (এম)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন করা হলে তিনিও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘‘কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, বি জে পি আর তৃণমূল, একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তৃণমূলের মদতেই এরাজ্যে আর এস এস-র বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে, বি জে পি সংগঠন বাড়াতে পারছে। অন্যদিকে, এর বিনিময়ে মোদী সরকার সারদা, নারদা, রোজভ্যালি ইত্যাদি দূর্নীতির প্রশ্নে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, হাত গুটিয়ে বসে আছে। অন্য রাজ্যে এই সব কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এখানে হচ্ছে না। এছাড়া, রামনবমীসহ বিভিন্ন ঘটনায় প্রমাণিত, এই দুই দল প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা করে মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। তাই এই দুই বিপদের বিরুদ্ধেই এরাজ্যে আমাদের লড়াই চলবে। মোদী হটাও দেশ বাঁচাও, তৃণমূল হটাও বাংলা বাঁচাও।’’

এদিকে আজ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষে ও সামাজিক সংহতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে তৃনমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলির একটি রাজনৈতিক ফ্রন্ট এর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এই বিষয়ক যাবতীয় উদ্দ্যোগ ও সমন্বয় এর দায়িত্ব পেয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। ওমপ্রকাশ বাবু নজরবন্দির প্রতিনিধিকে জানান "খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের এই উদ্দ্যোগে সামিল হওয়ার এবং সর্বাত্মক সমর্থনের জন্য যোগাযোগ শুরু করবো।" ব্যাক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে তিনি সমস্ত বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

কাজেই রাজ্যে এবং সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূল এবং বিজেপি-র সাথে সমদুরত্ব রেখে অদূর ভবিষ্যতে বাম-কংগ্রেস জোট হতে চলেছে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.