পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সংঘর্ষে আহত বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগের তির টিএমসির দিকে
নজরবন্দি,বালুরঘাটঃ রাজ্য নির্বাচন কমিশন যতই
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পঞ্চায়েত ভোট করার আশ্বাস দিকনা কেন তা যে শুধু কথার কথা
তা ফের প্রমাণ মিলল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে। মনোনয়ন পত্র তুলে নেবার
জন্য বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে মারধর করার অভিযোগের তীর সেই তৃণমূলের দিকে।গতকালের
ওই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রার্থীর
স্বামী স্বপন বর্মণ(৫০) নামে ওই ব্যক্তি।
এদিকে ভয়ে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বালুরঘাট জেলা
বিজেপির কার্যালয়ে ছেলেকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরস্বতী বর্মণ নামে ওই বিজেপি
প্রার্থী। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার
কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, স্বপন বর্মণ
পেশায় কৃষক। বাড়িতে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার অশোক
গ্রাম পঞ্চায়েতের অশোক গ্রামে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বপনবাবুর স্ত্রী
সরস্বতী বর্মণ অশোক সংসদ থেকে বিজেপির হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মনোনয়ন জমা দেন।
বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিতেই একের পর এক হুমকি আসতে থাকে বর্মণ পরিবারের উপর।
বাঁচতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব স্ত্রীর মনোনয়ন তুলতে বলেন স্বপনবাবুকে।
এরপরেও মনোনয়ন না তোলায় গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার পথে কিছু লোক তাকে
বাঁশ দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।
বেধড়ক মারধর করা হয় স্বপনবাবুকে। স্থানীয় তৃণমূল
নেতৃত্বের উঙ্গুলি হেলনেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বিষয়টি নজরে আসতে
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপন বর্মণকে উদ্ধার করে প্রথমে
গঙ্গারামপুর ও পরে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করায় তারা। এদিকে ভয়ে ও আতঙ্কে ঘর
ছেড়ে বালুরঘাটের বিজেপি কার্যালয়ে ঠাঁই নিয়েছেন সরস্বতী বর্মণ ও তার ছেলে। মনোনয়ন
না তুললে ঘর মুখো হলেই ফের হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বর্মণ দম্পতি। এদিকে
মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে স্বপনবাবুর। মাথায় মোট আটটা সেলাই পড়েছে। বর্তমানে তিনি
বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
আক্রান্তের পরিবার। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। অন্য দিকে
ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবিষয়ে আক্রান্তের স্ত্রী তথা বিজেপি
প্রার্থী সরস্বতী বর্মণ জানান, বিজেপির হয়ে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে
তাকে ও তার স্বামীকে নানান হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মনোনয়ন তুলে না নিলে প্রাণে মারার
হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
এরপরই গতকাল বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার পথে তার স্বামীর পথ আটকে
বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত আছে বলে জানিয়েছেন আক্রান্তের স্ত্রী। ।
এমত অবস্থায় তারাও বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। তাই দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কালিপদ সরকার ঘটনার কথা অস্বীকার
করেছেন। এই কাজে তৃণমূল জড়িত নেই। তাদের নামে অপবাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো
হচ্ছে। অন্য দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পেলে
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই