Header Ads

স্ত্রী প্রসূতি, মা অসুস্থ! 'জনগণের ভোট' থেকে পালানোর ফিকির খুঁজছেন ভোট কর্মীরা!!


নজরবন্দি ব্যুরোঃ মে মাসের ১৪ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই মাসেই বাবা হবেন রাজ্যের অসংখ্য কর্মচারী যাদের ভোটের দিন ডিউটি পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, কারো বা মা কিংবা বাবার চিকিৎসার জন্য যেতে হবে ভেলোর কিংবা রাজ্যের বাইরে অন্য কোথাও।

কিছু না হোক নিদেনপক্ষে নিজের ব্লাড সুগারটা স্বাভাবিক রয়েছে কিনা তা জানতে একবার মে মাসে ভেলোর না গেলেই নয় অনেকেরই। কারো বা স্ত্রী গিয়ে নির্বাচনী দপ্তরে কাঁদো কাঁদো গলায় বলছেন, "আমার উনি বড়ই দুর্বল, এবারের ভোটে ডিউটি থেকে রেহাই দিন ওনাকে।" প্রত্যেকের লক্ষ্য এক। পঞ্চায়েত ভোট থেকে যেনতেন প্রকারেণ দূরে থাকা। ভোট, শব্দটি একটা সময় এক গণতান্ত্রিক উৎসবের আবহ বহণ করতো। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন। স্বেচ্ছায় মানুষ অংশ নিতেন নির্বাচন যজ্ঞে। হঠাৎ করে সেই চিত্র কি আমূল বদলে গেল? বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ভোটে অংশ নিতে গেলে শক্তির প্রয়োজন হয়। তাইতো কারো স্ত্রীকে গিয়ে আবেদন জানাতে হয়, "আমার উনি বড্ড দুর্বল"!

ভোট জনগণের জন্য, জনগণের স্বার্থে, জনগণের অধিকার রক্ষায় সংঘটিত হয়। সেই ভোট থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে পালানোর পথ খুঁজছেন রাজ্যবাসী। ভোটের দিন যে সমস্ত ভোটকর্মীরা ভোট নিতে যাবেন তাদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন গুলিতে সন্ত্রাসের এক ভয়াবহ চিত্র দেখেছে রাজ্যবাসী। শক্তিশালী দল দুর্বল বিরোধীর ওপর শক্তিদম্ভ কায়েম করছে। রাজনৈতিক নেতারা অবলীলায় বলছেন, "নির্বাচনে সন্ত্রাস হবে এটা স্বাভাবিক"। আদৌ কি এটাই স্বাভাবিক? এটাই হওয়ার কথা ছিল রাজ্যে। উন্নয়নের রাজ্যে এটাই কি দস্তুর? প্রশ্ন ওঠে বৈকি।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.