মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচিয়ে সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের গুরুত্ব বোঝালেন চিকিৎসক।
নজরবন্দি,বালুরঘাট: জেলা হাসপাতাল থাকা কালীন কখনই যে অপারেশন গ্রাম বাংলায় হওয়ার সুযোগ ছিলনা। এখন সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল হওয়ার দরুন সেই জটিল অপারেশনে সুস্থ হয়ে হাসি মুখে রোগী বাড়ি ফিরছে। আজ এমনি এক চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সুপারফেসিলিটি হাসপাতালে। রোগী কে সুস্থ করে তার পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দিতে পেরে যেমন খুশি সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্সিং সদস্যরা । তেমনি প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে রোগীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে খুশি তার পরিবারেরা। ঘটনাটি কি হয়েছিল তা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েক দিন। গত ১৭ এপ্রিল সারা দিনের কাজের ক্লান্তির পর তপনের অভিরামপুরের বাসিন্দা বন্ধ ওরাও সবে রাতের খাওয়ার খেতে বসেছিলেন। সেই সময় তার ভাইয়ের ছেলে বিষ্ণু ওরাও ( ভাস্তা) তার কাছে এসে টাকা ধার চায়।
এর আগেও সে টাকা ধার নেবে বলে বন্ধ ওরাও কে বিরক্ত করেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু সে সময় যেমন বন্ধ ওরাও তাকে টাকা ধার দিতে অস্বীকার করেছিল। সেদিন রাত্রেও সে ভাবে ই বিষ্ণুকে টাকা ধার দিতে পারবে না বলে জানায়। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিষ্ণু। দৌড়ে এসে তার হাতে থাকা ধারালো ভোজালি খেতে বসা বন্ধ ওরাও এর পেটে বার বার আঘাত করতে থাকে। বার বার আঘাতের ফলে ক্ষত বিক্ষত হয়ে তার পেটের নাড়ি বাইরে বেড়িয়ে পড়ে। রক্তে ভেসে যায় চারদিক। অজ্ঞান অবস্থায় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তাকে কোন রকমে গামছা দিয়ে পেট বেধে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালে আসে। রোগীর সেই অবস্থা দেখে সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক সুবিত হাসান দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন সুপারফেসিলিটি হাসপাতালের যাবতীয় সুবিধে দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে তিনি ওই মাল্টিপল আঘাত প্রাপ্ত রোগীর অপারেশন করবেন। সংগে সংগে দুজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্সিং স্টাফ ও একজন এনেশথেসিস্ট নিয়ে টিম তৈরি করে ঝাঁপিয়ে পড়েন রোগীকে জটিল অপারেশনের মধ্যমে বাঁচিয়ে তুলতে। অবশেষে ভোরের আলো ফোটার মুখে চার ঘন্টা ধরে অপারেশনের মধ্যমে পেটের মাল্টিপল আঘাত গুলোকে জোড়া লাগাতে তারা সক্ষম হয়। অপারেশনের পর রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় শয্যায় দিলেও তার জ্ঞান ফিরতে টানা একদিন লেগে যায়। পাশাপাশি একদিন পর তার জ্ঞান ফিরলেও টানা পাঁচ দিন তাকে কিছুই সলিড খাবার না দিয়ে সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের যাবতীয় যন্ত্রপাতির সুযোগ সুবিধের মধ্যমে রেখে দেওয়া হয়েছিল। আর এখানেই সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল হওয়ার দরুন মৃত প্রায় রোগীকে বাঁচিয়ে তোলার সুবিধের কথা বার বার উঠে আসছে বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সব মহলে। পাশাপাশি এই ধারা যাতে বজায় রেখে রোগীদের আরও আর ও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় সে বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে সুপারফেসিলিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান। আগে এসব ক্ষেত্রে রোগী কে বাইরের হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হত। কেননা বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল শুধু নয় কোন জেলা হাসপাতালেই এই পেটের মাল্টিপল আঘাত প্রাপ্ত রোগীর জটিল অপারেশন সম্ভবপর ছিলনা। যার ফলে রোগীকে অন্যত্র রেফার করে দিলেও রোগীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা থাকত। পাশাপাশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে নিয়ে যেতেই পথে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ত রোগী। কিন্তু এখন হাতের কাছে সুপারফেসিলিটি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধে পাওয়ার পর এই জটিল অপারেশন যে গ্রাম বাংলায় বসে করা যায় তার প্রমাণ আজ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বন্ধ ওরাও। শল্য চিকিৎসক সুবিত হাসান সহ সমগ্র টিমের কৃতিত্বের পাশাপাশি এই সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধেকেই বেশি করে কৃতিত্ব দিতে চান। কেননা সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল না হলে এই পরিষেবা কখনই দেওয়া সম্ভব হতো না বলে জানান সুপার । পাশাপাশি তিনি আরও জানান তারা চেষ্টা করছেন এই সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ সুবিধে দিয়ে যাতে সবরকমের রোগীদের উন্নতর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়। যাতে জেলা থেকে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে অন্য খানে ছুটতে না হয়।
এর আগেও সে টাকা ধার নেবে বলে বন্ধ ওরাও কে বিরক্ত করেছিল বলে জানা যায়। কিন্তু সে সময় যেমন বন্ধ ওরাও তাকে টাকা ধার দিতে অস্বীকার করেছিল। সেদিন রাত্রেও সে ভাবে ই বিষ্ণুকে টাকা ধার দিতে পারবে না বলে জানায়। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিষ্ণু। দৌড়ে এসে তার হাতে থাকা ধারালো ভোজালি খেতে বসা বন্ধ ওরাও এর পেটে বার বার আঘাত করতে থাকে। বার বার আঘাতের ফলে ক্ষত বিক্ষত হয়ে তার পেটের নাড়ি বাইরে বেড়িয়ে পড়ে। রক্তে ভেসে যায় চারদিক। অজ্ঞান অবস্থায় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তাকে কোন রকমে গামছা দিয়ে পেট বেধে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালে আসে। রোগীর সেই অবস্থা দেখে সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক সুবিত হাসান দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন সুপারফেসিলিটি হাসপাতালের যাবতীয় সুবিধে দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে তিনি ওই মাল্টিপল আঘাত প্রাপ্ত রোগীর অপারেশন করবেন। সংগে সংগে দুজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্সিং স্টাফ ও একজন এনেশথেসিস্ট নিয়ে টিম তৈরি করে ঝাঁপিয়ে পড়েন রোগীকে জটিল অপারেশনের মধ্যমে বাঁচিয়ে তুলতে। অবশেষে ভোরের আলো ফোটার মুখে চার ঘন্টা ধরে অপারেশনের মধ্যমে পেটের মাল্টিপল আঘাত গুলোকে জোড়া লাগাতে তারা সক্ষম হয়। অপারেশনের পর রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় শয্যায় দিলেও তার জ্ঞান ফিরতে টানা একদিন লেগে যায়। পাশাপাশি একদিন পর তার জ্ঞান ফিরলেও টানা পাঁচ দিন তাকে কিছুই সলিড খাবার না দিয়ে সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের যাবতীয় যন্ত্রপাতির সুযোগ সুবিধের মধ্যমে রেখে দেওয়া হয়েছিল। আর এখানেই সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল হওয়ার দরুন মৃত প্রায় রোগীকে বাঁচিয়ে তোলার সুবিধের কথা বার বার উঠে আসছে বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সব মহলে। পাশাপাশি এই ধারা যাতে বজায় রেখে রোগীদের আরও আর ও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় সে বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে সুপারফেসিলিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বালুরঘাট সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান। আগে এসব ক্ষেত্রে রোগী কে বাইরের হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হত। কেননা বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল শুধু নয় কোন জেলা হাসপাতালেই এই পেটের মাল্টিপল আঘাত প্রাপ্ত রোগীর জটিল অপারেশন সম্ভবপর ছিলনা। যার ফলে রোগীকে অন্যত্র রেফার করে দিলেও রোগীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা থাকত। পাশাপাশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে নিয়ে যেতেই পথে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ত রোগী। কিন্তু এখন হাতের কাছে সুপারফেসিলিটি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধে পাওয়ার পর এই জটিল অপারেশন যে গ্রাম বাংলায় বসে করা যায় তার প্রমাণ আজ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বন্ধ ওরাও। শল্য চিকিৎসক সুবিত হাসান সহ সমগ্র টিমের কৃতিত্বের পাশাপাশি এই সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধেকেই বেশি করে কৃতিত্ব দিতে চান। কেননা সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল না হলে এই পরিষেবা কখনই দেওয়া সম্ভব হতো না বলে জানান সুপার । পাশাপাশি তিনি আরও জানান তারা চেষ্টা করছেন এই সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ সুবিধে দিয়ে যাতে সবরকমের রোগীদের উন্নতর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়। যাতে জেলা থেকে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে অন্য খানে ছুটতে না হয়।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই