লক্ষ্য এক, "নির্বাচন"। কিন্তু পরিস্থিতি আলাদা দুই রাজ্যের!
সুদীপ বল,নজরবন্দি, বেঙ্গালুরু: সামানে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যেখানে পশ্চিমবংগে এত মারদাঙ্গা থেকে নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে এত সোরগোল। সেখানে আগামী লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল হিসেবে যে ভোট কে বিরোধী থেকে দেশের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিরা আখ্যা দিতে কসুর করছেনা।
সেই কর্ণাটক বিধানসভার ভোট কে ঘিরে কোন উত্তেজনার আঁচ এখনও পর্যন্ত কর্ণাটক জুড়ে দেখা যায়নি। যদিও ১২ মে নির্বাচনের দিন আসতে এক মাসও সময় হাতে নেই।
উত্তেজনা বলতে যতটুকু সেটুকু হলো শাসক দল কংগ্রেসের টিকিট বিলিকে কেন্দ্র করে আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নিজে কোন আসনে দাঁড়াবেন।
তাকে ঘিরেই যাবতীয় উত্তেজনার আচ। গত রবিবার দিল্লিতে দফায় দফায় রাহুল গান্ধির সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ২২৪ টি আসনের মধ্যে ২১৮ টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দলের কয়েকজন
নেতা প্রার্থী হতে না পারার দরুন দফায় দফায় কর্ণাটক কংগ্রেসের সদর দফতর বেঙ্গালুরুর অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চালিয়েছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধামাইয়া নিজে এবার নাকি দুই জায়গা থেকে নির্বাচনে দাড়াতে চেয়েছিলেন।
কেন চেয়েছিলেন।
সে নিয়ে খোদ দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল। তাহলে
কি দলের কান্ডারি ই নিজেই যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আগাম হতাশ হয়ে পড়েছেন। শেষ মেষ রাজ্যে তা নিষ্পত্তি না হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কোর্টে বল ঠেলে দেন রাজ্য নেতারা। যদিও কয়েক দফা আলোচনার পর ভোটার দের কাছে ভুল বার্তা যাবে দেখে রাহুল গান্ধী তা খারিজ করে দেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে। মাইসুর থেকেই লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী।তবে তার অন্য আসন থেকে লড়াই চালানোর ইচ্ছেকে সম্মান দিয়ে সেখানে তার ছেলেকে টিকিট দিয়েছে দল। পরিবারতন্ত্র এখানেই শেষ হয়নি।
এবারের ভোটে কংগ্রেসের সাত জন মন্ত্রীর ছেলে ও মেয়েকে দল টিকিট দিয়েছে। যা নিয়ে দলের অন্দরেই চাপা ক্ষোভ রয়েছে। যার প্রতিফলন খোদ দলের অফিসের সামনে বিক্ষোভ।
যা কর্ণাটকের মানুষ আগে কখনও দেখেনি।যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গণতন্ত্র দলে আছে বলেই এসব হয়ে থাকে। পরে সব ঠিক হয়ে যায়।
বিজেপি ও তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই করে দিয়েছে। এছাড়া ও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে তারা বেশ আগের থেকে পরিকল্পনা মাফিক এগিয়েছে।
জানুয়ারির শেষ ও ফ্রেব্রুয়ারী থেকেই দফায় দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে দিয়ে সভা করেছে দল। মাটি কামড়ে পড়ে আছেন অমিত শাহ সহ তাবড় তাবড় বিজেপি দলের নেতা মন্ত্রীরা।
অন্যদিকে রয়েছে জনতা দল ( এস)।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া র এই দল ও এই ভোটে বড় ফ্যাক্টর। তারাও রয়েছে বেশ কিছু আসনে জোর লড়াইয়ের জন্য। এছাড়াও রয়েছে মায়াবতির দল।
যত কিছুই হোক পশ্চিমবঙ্গে আমরা যে কোন ভোট এলে দেওয়াল লিখন থেকে ব্যানার পোস্টারে বা হাইটেক প্রচার দেখতে অভ্যস্ত। কর্ণাটকে সে ভাবে কোন রাজনৈতিক প্রচার এখনও লক্ষই করা যায়নি। হাতে গোনা কিছু ছোট খাট ব্যানার পোস্টার লক্ষ করা গেলে, যদিও তা সর্বত্র নয়। সেভাবে ভোটের উত্তেজনার পারদ সেভাবে চড়তে দেখা যায়নি।তবে একটি কথা না বললেই নয়। এখানের নির্বাচন কমিশনার কিন্তু আমাদের রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের মত গয়ং গচ্ছ ভাবের নয়। পুলিশও কড়া হাতে প্রশাসনকে নিরেপেক্ষ ভূমিকা পালন করার কাজ করছে। এখানে উল্লেখ না করে পারা যাচ্ছেনা ছোট একটি ঘটনা।আম্বেদকরের জন্মদিবস উপলক্ষে একজন প্রার্থী তার এলাকায় খিচুড়ি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করবার চেষ্টা করছেন।
এই খবর পেয়ে পুলিশ সটান সেখানে গিয়ে তা তো বন্ধই করে দেয়। এমনকি খিচুড়ি ভর্তি হাড়ি উঠিয়ে থানায় নিয়ে আসে। সেই অনুষ্ঠানে নাকি রাজ্যের অনেক ভি ভি আই পি মর্যাদার লোকজন হাজির ছিলেন। পুলিশ কিন্তু তাদের কাজ বিনা বাধায় করে এসেছে বলে জানা গেছে।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই