Header Ads

NCTE -র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে টানাটানি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক পদপ্রার্থীর ভাগ্য ঝুলে রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতের সুতোয়। অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে তাদের দিন। কিন্তু শুধু চাকরি প্রার্থীরাই নন, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের বিড়ম্বনা ভোগ করছেন এরাজ্যের কর্মরত শিক্ষকরাও। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন আর নিত্যনতুন নির্দেশিকার জেরে ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়লো রাজ্যের অসংখ্য কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি।
শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বারবার বদল হচ্ছে নিয়ম। সেই নিয়মের গেরোতেই চাকরি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ২০০৩ সালের পর নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা। এই শিক্ষকরা ২০০৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার সময় ১ বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছিলেন। তখন থেকেই তারা 'এ' ক্যাটাগরির শিক্ষক হিসেবে মান্যতা পেয়ে আসছেন। পরবর্তীতে স্কুল শিক্ষকদের ২ বছরের প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক বলা হলেও এই সমস্ত শিক্ষকদের আর নতুন করে ১ বছরের যোগ্যতা বাড়ানোর দরকার নেই বলেই জানিয়েছিল এনসিটিই। কিন্তু ২০১৭ সালে এনসিটিই-র জারি করা নতুন নির্দেশিকার ফলে চিন্তায় পড়ে গেছেন ওই শিক্ষকরা।

২০১৭-র এনসিটিই নিয়মে বলা হয়, যে সমস্ত শিক্ষকদের ২ বছরের প্রশিক্ষণ নেই তারা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের পর রাজ্যের কোনো স্কুলে আর শিক্ষকতা করতে পারবেন না। তবে ২০০১ সালের আগে যারা শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তারা এই নির্দেশিকার আওতায় পড়েন না। সেই সাথে বলা হয়, বর্তমানে কর্মরত যে সমস্ত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের মর্যাদা পেয়ে আসছেন তাদেরও যোগ্যতামান বাড়ানোর দরকার নেই।

এই নতুন নির্দেশিকার পরেই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে ২০০৩-এর ১ নভেম্বর নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে। তারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের মর্যাদা (এ ক্যাটাগরি) পান একথা ঠিক, তবে তাদের সেই প্রশিক্ষণ ১ বছরের। এদিকে নির্দেশিকায় ২০০১ সালের পূর্বে নিযুক্ত শিক্ষকদের যোগ্যতা বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই বলা হলেও ২০০৩ সালে নিযুক্ত শিক্ষকদেরও সেই সুবিধা দেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট করে বলা নেই। অবিলম্বে এই বিভ্রান্তি দূর হওয়া প্রয়োজন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে দাবি জানিয়েছেন অরূপ দে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.