Header Ads

শিক্ষক নিয়োগ থেকে ডিএ, প্রাথমিক শিক্ষকদের HS স্কেল সব মিলবে পঞ্চায়েতের আগেই!! কি নির্দেশ??

নজরবন্দি ব্যুরোঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। একাধিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হলে গেলেও তার নিয়োগ পাননি চাকরি প্রার্থীরা। বকেয়া ডিএ নিয়েও অসন্তোষ চরমে। প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চনার অভিযোগে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাথমিকের কর্মরত শিক্ষকরা। এই ক্ষোভ আরও বেশি বাড়ার আগেই তা কমাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পত্র পাননি মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা- এই তিন জেলার চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগপত্রের দাবিতে টানা ২৫ দিন অনশন চালিয়েছেন ওই হবু শিক্ষকরা। টেট পাশ সার্টিফিকেট পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়োগ না হওয়ায় ওই টেট সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে যেতে চলেছে অসংখ্য শিক্ষক পদপ্রার্থীদের। এই পরিস্থিতিতে চাকরি প্রার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে বাকি পড়ে থাকা নিয়োগ খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে আটকে থাকা নিয়োগের অধিকাংশ পঞ্চায়েত ভোটের আগে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বকেয়া কাজ এবার শেষ করে ফেলতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু বাঁধাও রয়েছে বলে খবর সূত্রের, কারণ আইনগত জটিলতায় ফেঁসে থাকা কেস গুলিতে কিছু করার নেই রাজ্যের। কিন্তু রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী মাত্র দুদিন আগেই জানিয়েছিলেন অনশনরত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের খবর আছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং তিনি ব্যাবস্থা নিচ্ছেন। সূত্র আরও জানাচ্ছে পে কমিশন কার্যকরি করার মত অর্থ হাতে নেই সরকারের। কিন্তু সদিচ্ছা রয়েছে কিছু মহার্ঘ্য ভাতা অনুমোদন করার। রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মিলতে পারে এক প্রস্থ ডিএ। কিন্তু সেই মহার্ঘ্যভাতার পরিমান কোনভাবেই ২-৩% র বেশি হবেনা। তবে জানুয়ারি মাসে ১৪-১৫% মহার্ঘ্য ভাতা নিশ্চিত ভাবেই দেবে সরকার। এর মধ্যে আবার বাদ সেধেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের HS স্কেল নিয়ে আন্দোলন।

কয়েকদিন আগে প্রেস কনফারেন্স করার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল অরাজনৈতিক ব্যানারে(usthi united primary teachers' association) রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে লিখিতভাবে দাবিপত্র জমা দিয়ে বলেন এটা দাবি নয় অধিকার। সেই চিঠিও নাকি পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। শিকে ছিঁড়তে পারে তাঁদের ভাগ্যেও। ভোট গ্রহনে বড় ভূমিকা থাকে প্রাথমিক শিক্ষকদের। মোট কথা জুন-জুলাই-আগস্ট যেকোন মাসে হতে পারে নির্বাচন তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বকেয়া কাজ যতটা সম্ভব হয় তা শেষ করে ফেলার জন্যে।
এতেই আশার আলো দেখছেন শিক্ষক পদপ্রার্থী থেকে শুরু করে কর্মরত শিক্ষকরাও। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শিকে ছিঁড়তে পারে, আশায় বুক বাঁধছেন চাকরি প্রার্থী, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী প্রত্যেকেই। যত সমালোচনাই থাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় কোন কাজ হয়নি তা অতি বড় নিন্দুকেও বলতে পারবে না। আর "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর আন্দোলন প্রিয় আন্দোলন করেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েছেন, তাই আন্দোলনকারিরা হকের দাবীতে লড়লে নিশ্চিত ভাবেই পাশে পাবেন জননেত্রীকে" জানালেন এক তৃণমূল নেতা। সব ঠিক আছে সমস্যা শুধু রাজকোষ নিয়ে তা অবশ্য মানলেন তিনি!
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.