Header Ads

আদালতের রায়ে কি মুখ পুড়ল শুধু নির্বাচন কমিশনের! প্রশ্ন উঠে গেল সংবিধান টা ভাঙছে কে?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ‘অফিস অফ প্রফিট’ বা লাভজনক পদে রয়েছেন ‘আপ’-এর ২০ বিধায়ক। গত ১৯শে জানুয়ারি এই অভিযোগে ২০ আম আদমি পার্টির বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করার সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন। মাত্র দুদিন পরেই সেই সুপারিশে শিলমোহর দিয়ে মান্যতা দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ!

আর আজ নজিরবিহীন ভাবে রাষ্ট্রপতির শিলমোহর দেওয়া সুপারিশ খারিজ করে দিল দিল্লী হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয় হাইকোর্ট রায়ে নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করে আজ।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও চন্দ্রশেখরের বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ আইনের অপব্যবহার। অভিযুক্তদের বয়ান পেশ করার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করেছে নির্বাচন কমিশন।

আদালতের এই নির্দেশে ব্যাপক খুশি আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইটারে তাঁর বক্তব্য, ‘সত্যের জয় হয়েছে। এই জয় শুধুমাত্র দলের নয়। এই জয় দিল্লিবাসীর।’ কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ একটা প্রশ্নের জন্ম দেয়। সংবিধান ভাঙছে কে? কারন "ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করেছে নির্বাচন কমিশন।" বলছেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা। কিন্তু দায় কি শুধু ইলেকশন কমিশনের? দেশের সর্বোচ্চ পদে থাকা রাষ্ট্রপতি কিন্তু শিলমোহর দিয়েছিলেন সুপারিশে! বিচারপতিদের আঙুল কোন দিকে নির্দেশ করল তাহলে?
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.