Header Ads

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জীবন বাঁচালেন ডাঃ পি রায়।

নজরবন্দি,আসানসোলঃ হীরাপুর থানার বেজডি গ্রামের বাসিন্দা কিশন ধীবরের ছেলে জয়ন্ত ধীবর এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,মিঠানি হাইস্কুলে পড়তো। পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল সাঁতার গান্ধী হাই স্কুলে।গত শনিবার ফিজিক্যাল সায়েন্সের পরীক্ষা দেবার সময়
প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হয়,স্কুলেই বার দুয়েক বমি করে, কোন রকমে পরীক্ষা শেষে বাড়ী নিয়ে আসে বাবা কিশন।সোমবার অঙ্ক পরীক্ষা ,তার জন্য তৈরী হচ্ছিল জয়ন্ত৷কিন্তু মাঝে মাঝে পেট ব্যাথা হওয়াতে একাগ্রতা নষ্ট হচ্ছিল৷ সকাল থেকে বেশ কয়েকবার বমি হয়,বিকালে ব্যাথা অসহ্য হওয়াতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।এখানে শল্য চিকিৎসক ডাঃ পি রায় দেখে জানালেন এটা এপ্যানডিক্সের ব্যাথা আর খারাপ অবস্থায় আছে,

অবিলম্বে অস্ত্রোপচার না করলে রুগী মারা যেতে পারে।মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুনে ডাঃ পি রায় জানান সকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে এবং ইচ্ছা করলে পরীক্ষা দিতে পারবে।চিকিৎসকের কথা শুনে জয়ন্তর বাবা গান্ধী হাই স্কুলে যোগাযোগ করেন,সেখান থেকে রাত্রেই শিক্ষক এসে জয়ন্তর সাথে কথা বলেন এবং আশ্বস্ত করেন হাসপাতালে ই পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে,যদি বসতে অসুবিধা হয় তা হলে রাইটারের ব্যবস্থা করা হবে।রাত সাড়ে দশটার সময় অপারেশন করার পর চিকিৎসক জানান অপারেশন সার্থক হয়েছে৷খুবই খারাপ অবস্থা ছিল,একটু দেরী হলে এ্যাপেনডিক্স ভেতরে ব্লাষ্ট হয়ে যেতে পারতো, তাতে রুগীর জীবন বাঁচানো মুস্কিল হতো।

বর্তমানে রুগী ভাল আছে ,আশা করা যায় সে পরীক্ষা দিতে পারবে।অপারেশন সার্থক হবার কথা শুনে জয়ন্তর বাবা নিশ্চিত হলেও দুপুর বারোটার মধ্যে কিছুটা সুস্থ হয়ে ছেলে পরীক্ষা দিতে পারবে কি না,সেই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি৷তার সেই চিন্তার অবসান ঘটিয়ে মনের অদম্য জেদ কে সাথী করে হাসপাতালের শয্যা থেকেই পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক জয়ন্ত৷জয়ন্তের ইচ্ছে জানার পরেই হাসপাতাল ও স্কুল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতায় তৎপর হয়ে ওঠে৷
মনের অদম্য জেদ থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কাছে হার মানলো জয়ন্ত৷হাসপাতালের শয্যা থেকে দেওয়া হল না মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা৷জয়ন্তর ইচ্ছা অনুসারে স্কুল ও হাসপাতাল সমস্ত ব্যবস্থা করলেও রাতের অস্ত্রপচারের পর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারলো না জয়ন্ত৷ঘটনা প্রেক্ষিতে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে পেটে ব্যাথা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল জয়ন্ত৷এপেনডিক্স বাস্ট করার মত পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে আপতকালিন পরিস্থিতিতে অস্ত্রপচার করা হয় জয়ন্তর৷
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.