Header Ads

ভারতী ও গুরুং-এর সঙ্গে সেটিং? মুখ্যমন্ত্রীর টার্গেট ২০১৯ পাহাড় দখল।

নজরবন্দি ব্যুরো: ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির হাজারো অভিযোগ ওঠার পরে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ‘লুক আউট নোটিশ’ জারি করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষকে হাতে পাওয়ার আগেই সেই আবেদন থেকে তাঁর নাম সরিয়ে নিল রাজ্য সরকার।

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে কেন এমনটা হল। এই বিষয় নিয়ে রাজ্য জোর জল্পনা, তা হলে কি ওই অভিযুক্ত অফিসারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও সেটিং হয়ে গিয়েছে?!
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ভারতী ঘোষ ‘মা’ বলতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে!! তার পরে ভারতী-দেবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্ব থেকে এখন অনেক দূরে। তাঁর সঙ্গীদের ধরপাকড় চললেও তাঁর নাগাল পায়নি সিআইডি।
সোনা লুঠ ও প্রতারণার মামলায় ভারতী এবং তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল সিআইডি। এর পর আরও দু’টি মামলা দায়ের করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ভারতী ও সুজিত-এর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় সিআইডি। পুলিশি সূত্রের খবর, ভারতীর নাম বাদ দেওয়া হলেও সেই নোটিশে সুজিতের নাম থেকে গিয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা প্রায় ১৫ দিন ভারতী-ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের ধরপাকড় থেকে শুরু করে নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। ভারতীর বাড়ি, ব্যাঙ্কের লকারও বাদ যায়নি। সিআইডি-র দাবি, উদ্ধার হয়েছে সাড়ে চার কোটি নগদ টাকা এবং আড়াই কিলোগ্রাম সোনা। ভারতীও সমানে পাল্টা অডিও বার্তা পাঠিয়ে সিআইডি-র কর্তাদের তুলোধোনা করছিলেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভারতী দেবীর গ্রেপ্তারের জন্য যে তল্লাশি চলছিল তা হঠাৎ গতি হারালো কেন? আর এই সব ঘটনার পর থেকে একটা সমঝোতার গন্ধ পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। তাদের মতে, ভারতীর কাছে রাজ্য প্রশাসন ও নবান্নের অনেক গোপন তথ্য রয়েছে। আর তারি জোরে ভারতী বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে ওই মহল। তাই রাজ্য সরকারের আতঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ আছে। আর এই সব ভেবে-চিন্তে ভারতীর সঙ্গে গোপন কোন বোঝাপড়া হলে তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

এর পাশাপাশি দার্জিলিং এর দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা বিমল গুরুং-এর নামে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি রাজ্য প্রশাসন। সেখানেও কিছু প্রশ্ন উঠছে। তবে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের একটা অংশ মনে করেন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গুরুংকে গ্রেপ্তার করছে না রাজ্য প্রশাসন। কারণ তৃণমূল সুপ্রিমোর লক্ষ্য যে করেই হোক পাহাড়ের দখল নেওয়া। আর সেই কথা মাথায় রেখে গুরুংকে গ্রেপ্তার না করে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে ট্রাম-কার্ড হিসাবে ব্যবহার করে পাহাড়ের দখল নিতে চায় কৌশলী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.