Header Ads

নিয়োগ নিয়ে এখনও সত্য কথা বলছেন না চেয়ারম্যান? কেন? বিশেষ প্রতিবেদন।

নজরবন্দি ব্যুরো: আজ আপারের সমস্যা মেটাতে চাকরী প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে চেয়ারম্যানের বৈঠক হয়। চাকরী প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের কথা অনুসারে নিয়োগ নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা শুনিয়েছেন চেয়ারম্যান।
পাশাপাশি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন "২০০৯-১২ এই সার্ভিস কেস যদি কমিশন জিতে যায় তাহলে ওয়েটিং থাকা চাকরী প্রার্থীদের নেওয়া হবে। তার মানে তাদেরকে নিয়োগ করা হবে। অর্থাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু থাকবে। কেন এমন সব মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। সত্যি-কথা কেন বলছেন না তিনি! সত্যি কথা সোজা ভাবে বলুন। নিয়োগ আটকে আছে একাধিক মামলার জেরে। এই কথা বলতে সমস্যা কোথায়!

প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ অনেকদিনের। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের একটাই দাবি, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সচল রাখুক সরকার। মামলার জটে আটকে আছে নিয়োগ, এই দাবি আর মানতে রাজি নন চাকরী প্রার্থীরা।শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কমিশন ও রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলেছেন চাকরী প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল সাইটে বারবার উঠছে প্রতিবাদের ঝড়। এস এস সি-র মাধ্যমে নিয়োগের সমস্যার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে কমিশনের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে চাকরী প্রার্থীদের একটা বড় অংশ।
চাকরী-প্রার্থীরা বলেন, ‘‘ রাজ্য সরকার ২০১২ সালে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ-স্তর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠায় মামলা সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, এই মামলার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন করে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ-স্তর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না। নতুন করে পরীক্ষা নিলেও ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু এরপরও রেজাল্ট প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।

আর এর ফলে তৈরি হয় জটিলতা। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে সি এম পি মামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করতে বলে। আর মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায়।কিন্তু এর পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট নিয়োগে স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। যা আজও চলছে বলে জানালেন এক চাকরী প্রার্থী। (কেস নাম্বার: W.P 5385w of 2015) তাই এই মামলা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চম থেকে দ্বাদশ-স্তরে শিক্ষক নিয়োগ করা সরকারর পক্ষে সম্ভব নয়। নবম থেকে দ্বাদশের কাউন্সেলিং করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যতই বাজার গরম করার চেষ্টা হোক না কেন।"

তাই নজরবন্দির তরফ থেকে মাননীয় চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। হবু শিক্ষকদের কাছে সবকিছু স্পষ্ট করে বলুন। আপনাদের সীমাবদ্ধতার কথা নিশ্চয় বুঝবেন হবু শিক্ষকরা। পাশাপাশি যেখানে আদালত নিয়োগর নির্দেশ দিয়েছে, যেমন মালদা। সেখানে নিয়োগের দ্রুত ব্যবস্থা করুন। তাহলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.