অভিষেক মনু সিংভি-র মননয়ন পত্রে গুরুতর ভুলের অভিযোগ। তাহলে কি রাজ্যসভায় রবিন?
সীতারাম প্রার্থী হলে তাঁকে সমর্থন দিয়ে রাজ্যসভায় জিতিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু দলীয় সংবিধানের গেরো সহ একাধিক কারণে আটকে যায় সীতারামের পুনরায় রাজ্যসভায় যাওয়া। অন্যদিকে কংগ্রেস হাইকমান্ড দিল্লী থেকে ঘোষণা করে দেয় তাঁদের প্রার্থী। পঞ্চম আসনের জন্যে অভিষেক মনু সিংভির নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। তৎক্ষণাৎ অভিষেক কে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে কংগ্রেসের ঘোষণার পরেই সিপিআইএম তাঁদের প্রার্থী হিসেবে রবিন দেবের নাম ঘোষণা করে। এরমধ্যে অনেক জল গড়িয়েছে গঙ্গা দিয়ে, দেখা গেছে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির মনোনয়নপত্রে গুরুতর ভুল! এমন ভুল যাতে প্রার্থীপদ বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে দাবী বামেদের।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা সিপিআই(এম) প্রার্থী রবীন দেব এমন গুরুতর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুললেন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে এমন গুরুতর গরমিল দেখিয়ে সেই মনোনয়নপত্র বাতিল করার দাবি তুলেছেন রবীন দেব।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কংগ্রেসের মত দল মনোনয়ন পত্রে এমন ভুল করবে কেন? এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত? কারন প্রদেশ কংগ্রেস তৃণমূলের থেকে বামেদের বেশি বন্ধু এবং বিশ্বস্ত মনে করে। বামেদের ভোটে ভর করেই তাঁরা রাজ্যের বিরোধী দল। এখন জোটকে ত্বরান্বিত করতে রাজ্যসভায় রবিন কে সমর্থন করলে সেই সম্পর্ক দৃঢ় হবে।
এক কংগ্রেস নেতার কথায় তৃণমূল একে একে আমাদের এমএলএ ভাঙাচ্ছে আর রাজ্যসভায় সমর্থন দিয়ে নাটক করছে। তৃণমূলের সাথে জোটে গেলে রাজ্যে কংগ্রেসের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। অন্যদিকে দেশ জুড়ে প্রায় সব কটি রাজ্যে বামেদের সংগঠন রয়েছে, ৮ টি রাজ্যের বিধানসভায় রয়েছে প্রতিনিধি। জোট সম্পর্ক তৈরি হলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে সুবিধা হবে কংগ্রেসের। অন্যদিকে লোকসভায় ম্যাজিক সংখ্যা হারানোর মুখে বিজেপি। মোট কথা তৃণমূল রাজ্যসভায় সমর্থন দিল বা না দিল কিছু আসে যায় না। কংগ্রেস প্রার্থীই জিতবে রাজ্যসভায়।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই