Header Ads

হবু শিক্ষকদের হাতে এখনই নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া সম্ভব নয়! তাহলে কেন এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ?

নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ অব্যাহত। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের একটাই দাবি, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সচল রাখুক সরকার। মামলার জটে আটকে আছে নিয়োগ, এই দাবি আর মানতে রাজি নন চাকরী প্রার্থীরা।শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কমিশন ও রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলেছেন চাকরী প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল সাইটে বারবার উঠছে প্রতিবাদের ঝড়। এস এস সি-র মাধ্যমে নিয়োগের সমস্যার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে কমিশনের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে চাকরী প্রার্থীদের একটা বড় অংশ।
চাকরী-প্রার্থীরা বলেন, ‘‘ রাজ্য সরকার ২০১২ সালে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ-স্তর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু নিয়োগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠায় মামলা সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, এই মামলার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন করে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ-স্তর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না। নতুন করে পরীক্ষা নিলেও ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু এরপরও রেজাল্ট প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।

আর এর ফলে তৈরি হয় জটিলতা। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে সি এম পি মামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করতে বলে। আর মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায়।কিন্তু এর পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট নিয়োগে স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। যা আজও চলছে বলে জানালেন এক চাকরী প্রার্থী। (কেস নাম্বার: W.P 5385w of 2015) তাই এই মামলা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চম থেকে দ্বাদশ-স্তরে শিক্ষক নিয়োগ করা সরকারর পক্ষে সম্ভব নয়। নবম থেকে দ্বাদশের কাউন্সেলিং করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যতই বাজার গরম করার চেষ্টা হোক না কেন।"

যদিও রাজ্য সরকার বা পর্ষদের তরফে দাবি করা হচ্ছে, ইন-সার্ভিস কেস মিঠে গেলেই শিক্ষক নিয়োগের জট কেটে যাবে এবং চাকরী প্রার্থীরা নিয়োগ পত্র পেয়ে যাবেন। সত্যি কি তাই? অবশ্যই তা ঠিক নয়। কারণ ইন-সার্ভিস ক্যানিডেটদের নিয়েই তো প্যানেল প্রকাশ করেছে সরকার। তাহলে তো ইন-সার্ভিস সমস্যা মিঠেই গেল। তার পর কেন এই অজুহাত দেখাচ্ছে সরকার। সত্যি কথা সোজা ভাষায় বলুন, মামলার জন্য আটকে আছে সব কিছু ! আর সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জট খোলা সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করেন এই রাজ্যের আইনজীবীদের একটা বড় অংশ। তাই এখনই নিয়োগ পত্র চাকরী প্রার্থীদের হাতে তুলে দেবার যতোই প্রতিশ্রুতি দিক পর্ষদ বা সরকার, তা আসলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু নয়।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.