Header Ads

মিশন ২০১৯, একলা চলো! জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা পেতে ৪০ টা আসন টার্গেটতৃণমূলের।


অর্ক সানাঃ তৃণমূল লক্ষ্য নিল মিশন ২০১৯ এর। জাতীয় রাজনীতিতে ঘাসফুলের আধিপত্য কায়েম করার জন্যে নতুন রনকৌশল নিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রণকৌশলের প্রথম ধাপ হল কোন দলের সাথে জোট না করা। বিশেষত কংগ্রেস কে বঙ্গে কার্যত একঘরে করেদিয়ে লোকসভার প্রায় সব কটি আসন দখল করাই উদ্দেশ্য। সবকটি আসনে চোখ থাকলেও তৃণমূল নেত্রী জয় নিশ্চিত করতে চান অন্তত ৪০ টি আসনে।

মোদী বিরোধিতায় রাহুলের কাছাকাছি এসেছেন মমতা। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্ররেসের সঙ্গে কাঁচামিঠে সম্পর্ক থাকলেও সোনিয়া গান্ধীর সাথে মমতা বোন্দোপাধ্যায়ের সখ্যতা সুবিদিত। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলে অন্তত ৮ - ১০ টা আসন ছাড়তে হবে কংগ্রেস কে সেক্ষেত্রে শক্তিশালী হবে কংগ্রেস আর টার্গেট পুরোন হবেনা তৃণমূলের, তাই একলা চলোরে! যা হওয়ার তা ভোটের রেজাল্ট বেরোনার পরেই হবে। অন্যদিকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণনীতি ঠিক থাকে তাহলে ৩৯ বা ৪০ টি আসন পেলে দেশের মধ্যে তৃতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসবে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের ঠিক পরেই। কংগ্রেস কে ক্ষমতায় আসতে গেলে নিশ্চিত ভাবে সাহায্য লাগবে তৃণমূলের। কারন বিজেপি একক ভাবে ২০১৯ এ সরকার গড়ে ফেলবে সেই অবস্থা এখন নেই বললেই চলে। হয় এনডিএ না হউ ইউপিএ। ক্ষমতায় আসবে এই দুই জোটের কেউ। তখন বিজেপি বিরোধী দেশের প্রথম সারির নেত্রী হয়ে ওঠা অনেক সহজ হবে তৃণমূল নেত্রীর। অন্যদিকে, সুব্রত মুখার্জী কিছুদিন আগে বলেছিলেন "বিজেপির ভোট বাড়লে সুবিধা তৃণমূলের। কারন তৃণমূল থেকে একটা ভোটও কমবে না। বরং বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে মার্জীন উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাবে তৃণমূলের।" মুকুল রায় ফ্যাক্টর কাজ করলে নিশ্চিত ভাবে বিজেপির ভোট বাড়ার পাশাপাশি ভোট কমত তৃণমূলের। কিন্তু বিগত উপনির্বাচনগুলোতে তা হল কই?



অন্যদিকে কিছুদিন পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, যা ট্রেণ্ড তাতে পঞ্চায়েতে বিরোধীরা কিছু জায়গাতে জিতলেও বৃহত ক্ষেত্র লোকসভায় বিরোধী শূন্য হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু কিভাবে?
দার্জিলিং এর কথায় আসাযাক... দার্জিলিং-এ বিমল গুরুং ফ্যাক্টর ছিলেন এখনো আছেন তা অস্বীকার করা যায়কি? অন্যদিকে বিমল গুরুং কে চাপে রেখে বিনয় তামাং এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন কৌশলী মমতা। তবে বিমল কে একেবারে খরচের খাতায় ফেলে দেননি তার প্রমাণ সিআইডি চার্জশিট। অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পর এমন হাওয়া উঠেছিল যাতে মনে হচ্ছিল এই বুঝি বিমল গুরুঙ্গের এনকাউন্টার করে দিল পুলিশ। অমিতাভের স্ত্রী বিউটি তো দাবী করেই ছিলেন তাকে কোন এক সিনিয়ার পুলিশ অফিসার কথা দিয়েছেন বিমল কে এনকাউন্টার করা হবে! কিন্তু বাস্তব বলছে এনকাউন্টার তো অনেক দুরের কথা গ্রেফতারই হননি বিমল, সিআইডি চার্জশিট পর্যন্ত দেয়নি। এর পরেও পাহাড়ে ঘাসফুল ফোটার জন্যে জমি তৈরি হয়নি বলবেন কোন নিন্দুকে??

মুর্শিদাবাদ, কংগ্রেস বলা ভাল অধীরের গড় সেই গড়ে ইতিমধ্যেই বেশ বড় ফাটল ধরেছে। সে ফাটল মেরামত করার মত যন্ত্রপাতি কংগ্রেসের আছে কি? মনে তো হয়না।হয়ত অধীরবাবু জিতবেন কিন্তু মার্জীন যে অনেক কমবে তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরোধ হতে পারে মৌসম বেনজির নুর আর আবু হাসেম খান চৌধুরীর আসনটিতে। তবে সেখানেও ভোট ভাগের খেলা চলবে। রায়গঞ্জ, সেলিম নিশ্চিত ভাবে ভাল কাজ করেছেন, করছেন। কিন্তু আসন ধরে রাখা মুশকিল তা বলাই বাহুল্য। আসানসোল, বাবুল জিতেছিল। কিন্তু আবার জিতবে কি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে কি এতদিনে যায়নি দোলা সেন - মলয় ঘটক দ্বন্দের কথা। নিশ্চিত ভাবেই গেছে।

দলনেত্রী কদিন আগেই কোর কমিটির বৈঠকে খুব নির্দিষ্ট ভাবে বলেছেন "কেউ কারো কাজে নাক গলাবে না"। এই নাক গলানো ব্যাপারটা যদি সত্যিই বন্ধ করে সবাইকে একদল-একপ্রতীক এই দীক্ষায় দীক্ষিত করতে পারেন তাহলে আসানসোলেও তৃণমূলের ফিরে আশা খুব কঠিন নয়। কাজেই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ সুব্রত বাবুর কথাই যে মিলে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
২০১৯ লোক সভায় এরাজ্য রেকর্ড সৃষ্টি করে তৃণমূল কে ৪২ - ০ তে জেতাতে চলেছে সে সম্ভাবনা ক্রমশ প্রবল হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সবকটা না হলেও হেসে খেলে ৩৮ টা আসন পাবেই তৃণমূল, অন্তত এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি রয়েছে। সেটাকেই ৪০ এ নিয়ে যেতেচান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সব শেষে একটা অনুরোধ তৃণমূল নেত্রীকে, ভোট লুঠের অভিযোগ ছাড়া যেন জয় পায় তৃণমূল সেদিকে লক্ষ্য রাখলে ভালো হয়। কারন মানুষের আশীর্বাদ টুকুই কাম্য, লুঠ নয়!! গনতন্ত্রের যেন গনহত্যা না হয়।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.