Header Ads

আগামীকাল খুলতে পারে ডিএ-র জট।রাজ্য সরকারি কর্মীদের অস্ত্র বিকাশ আর ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়!!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিরা সঠিক সময়ে ডিএ পেলেও দুর্ভোগ কাটেনি রাজ্যের কর্মীদের। বকেয়া ডিএ আদায়ের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হলেও এখনো পর্যন্ত ডিএ ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিএ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের কর্মী সন্তোষ বাবুর আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্যের সওয়ালে বেকায়দায় পড়ে রাজ্য সরকার। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং শেখর ববি শরাফের বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে ৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেন।শিক্ষকদের বকেয়া এক মাসের বেতন মেটাল রাজ্য।বাকি ২ মাসের পাবেন শীঘ্রই।
প্রশ্নগুলি হলঃ
১) রাজ্য সরকার কী ভাবে ডিএ নির্ধারণ করে?
২) ডিএ কত শতাংশ হারে দেওয়া হয়, এবং কতদিন ছাড়া দেওয়া হয়?
৩) ডিএ দেওয়া নিয়ে ক্যাবিনেট বা প্রশাসন কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
৪) রাজ্যের অর্থ দফতর কী ভাবে ডিএ-র হিসেব কষে?
৫) কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের ডিএ-র ফারাক কত?


এইসব প্রশ্নের উত্তর রাজ্যকে দিতে হবে আগামীকাল। এদিকে ডিএ সংক্রান্ত মামলা দিনের পর দিন আদালতে ঝুলে রয়েছে। অপেক্ষা করে করে পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে ২০১৮ সালের ডিএ ২০২৮ সালে মিলবে কিনা সে বিষয়েও সন্দিগ্ধ সরকারি কর্মচারিরা। তাদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে ত্রিপুরায় সরকারি কর্মচারিদের ডিএ মামলার চটজলদি রায় ঘোষনা।

আদালতে মামলা করেও হয়রানির শেষ নেই। কবে বকেয়া ডিএ মিলবে তাও জানেন না। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মনে আসার আলো দেখিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্টের একটি রায়। ২০১৬ সালের জুন মাসে ত্রিপুরা হাইকোর্ট যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দাবি মেনে নিয়ে তাদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেছিল। সেই রায় এখন ভরসা দেখাচ্ছে এরাজ্যের সরকারি কর্মীদের। রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রশ্ন যা ত্রিপুরাতে সম্ভব তা কেন এরাজ্যে সম্ভব হয়না? কেন দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হতে হয় রাজ্যের কর্মীদের? আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কি ঘটে হাইকোর্টে সেটাই দেখার যখন সরকারী কর্মীদের সাথে আছেন রাজ্যের অন্যতম আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য!
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.