Header Ads

কুশুমন্ডির ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দোষীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

নজরবন্দি, হরিরামপুর: কথায় আছে " চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে"। কুশুমন্ডির ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দোষীদের ফাঁসির দাবিতে আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে আদিবাসী সমাজের একটি সংগঠনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি দেখে এই পুরানো প্রবাদ টি আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

সে কথা অনায়াসে বলে দেওয়া যায়। গত শুক্রবার পুলিশের সামনেই ক্ষিপ্ত আদিবাসী জনতা একই দাবিতে এই ঘটনায় জড়িত এক অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছিল।তখন পুলিশের তাবড় তাবড় অফিসারদের স্রেফ নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেছিল। সেদিন পুলিশের সামনেই ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্তের বাড়ি ঘর অবাধে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অনায়াসে পুলিশের সামনে দিয়ে হেটে চলে গেলেও পুলিশ গ্রেফতার তো দুরের কথা, তাদের বরং সেখান থেকে বিনা বাধায় চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আর আজ সেই একই পুলিশের একাধিক অফিসারকে দেখা গেল এই মিছিল কে ঘিরে যাতে কোন সেদিনের মত অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। তার জন্য অতি সক্রিয়তা। শুধু হরিরামপুরকেই পুলিশ দিয়ে মুড়ে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি জেলা পুলিশ।

হরিরামপুর শহরে ঢোকা ও বাহিরের আসা ও যাওয়ার পাশের দুই জেলা মালদা ও উত্তরদিনাজপুর জেলার রাজ্য সড়ক সহ এই জেলার দৌলতপুর থেকে হরিরামপুরে আসা যাওয়ার সব রাস্তায় প্রচুর পুলিশ ব্যারিকেড গড়ে তুলেছিল। পুলিশের এই অতিরিক্ত সক্রিয়তার হাত থেকে আজ সংবাদ মধ্যমও রেহাই পায়ানি। হরিরামপুরে তাদের ঢোকার সময় নানা ভাবে বাধা দেওয়া হয়। অন্যদিকে উত্তরদিনাজপুর জেলার আদিবাসী সমন্বয় কমিটি ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটি ডাকা কুশুমন্ডির ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সাড়া ফেললেও। এই নিয়ে তেমন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। কেবল মাত্র কড়া হাতে জেলা পুলিশ আজ প্রথম থেকে ব্যবস্থা নেওয়ায়। বিক্ষোভ মিছিলে প্রচুর মোটর সাইকেল ও দুই জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ জন ছিলেন।

তারা উত্তর দিনাজপুরের সীমান্ত থেকে মিছিল করে হরিরামপুরে আসার পথে ওই দেহাবন্ধা গ্রামটি ও পড়ে থাকে। তাই পুলিশ প্রথম থেকেই মিছিলের আগে পিছে কর্ডন করে তাদের বলতে গেলে নিয়ে আসে। হরিরামপুরের চৌমাথা মোড়ে ওই বিক্ষোভকারিরা একটি সভা ও করে। সেখানেই ওই সংগঠনের নেতৃত্বরা ওই দোষীদের চরম তম সাজা ফাঁসির দাবিতে সরব হয়। এর পর তারা বুনিয়াদপুরের এস ডিও র কাছে তাদের দাবি সনদ তুলে দিতে যায়। তারা এলাকা ছাড়তেই হাফ ছেড়ে বাচে জেলা পুলিশ।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.