Header Ads

একদিকে অনশনে মরছেন চাকরিপ্রার্থীরা! আরেকদিকে ঢালাও আমোদ আহ্লাদে ব্যস্ত সরকার! কেন মুখ্যমন্ত্রী?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ নিয়োগ পত্রের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন মালদা জেলার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। আজ তাদের অনশনের ১১ তম দিন। ইতিমধ্যেই অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক চাকরি প্রার্থী। তারা এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেউ কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও ছাড়েননি অনশন মঞ্চ। তাদের দাবি, সরকার যদি নিয়োগ পত্র না দেয় তাহলে এই অনশন মঞ্চেই মৃত্যু বরণ করবেন তারা।
২০০৯ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তৎকালীন বাম সরকার। পরবর্তীকালে তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সেই পরীক্ষাকে বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে পরীক্ষা নেয়। তার পরে অনেক গুলো বছর কেটে গেছে। রাজ্যের সব জেলায় নিয়োগ হয়ে গেলেও এখনো নিয়োগ পাননি মালদা এবং দুই ২৪ পরগণার শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হলে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আদালত ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেয়। সেই সময়সীমাও অতিক্রান্ত হয়ে গেছে অনেক দিন হল। এখনো পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখেননি চাকরি প্রার্থীরা। অবশেষে অনশনের পথকেই বেঁছে নিয়েছেন তাই।

মালদায় একদিকে যখন অনশন মঞ্চে মরতে বসেছেন চাকরি প্রার্থীরা ঠিক তখনই জেলার আরেক দিকে চলছে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে রাজ্য সরকারের 'আহারে বাহার' উৎসব। অনশনকারী চাকরি প্রার্থীদের পাশে দঁড়িয়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দল, শুধু দেখা মেলেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। কয়েক দিন আগেই মালদা ঘুরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ অনশন মঞ্চে এসে একবার চাকরি প্রার্থীদের সাথে দেখা করেননি তিনি। চাকরি প্রার্থীরা মরলো কি বাঁচল ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁর। রাজ্যের সাংস্কৃতিক বিকাশে ব্যাস্ত তিনি। একই জেলায় যখন নিয়োগের দাবিতে মরণপণ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা তখন সেই জেলারই অন্যদিকে চলছে খাওয়াদাওয়া, আমোদ আহ্লাদের ঢালাও আয়োজন।

এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সকলে ডাকেন 'দিদি' বলে। অথচ দিদির রাজ্যে ভাইয়েরা যখন বঞ্চনার শিকার হয়ে মরতে বসেছেন তখন তিনি কি করে সে দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে 'খানাপিনায়' তোল্লাই দিতে ব্যস্ত থাকেন? প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রার্থীরা।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.