Header Ads

'গুন্ডাবাহিনীকে' প্রশ্রয়! তবু তাঁর দলই 'স্বচ্ছতার প্রতীক'! জেনে বুঝে অসত্য বলছেন মমতা! সুজন

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্য বাজেট পেশের আগে আজ তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে ভাষণ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাষণে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করে নিজের দল তৃণমূলকে স্বচ্ছতার মোড়কে ঢেকে দিলেন তিনি।
বাসন্তীতে দীর্ঘদিনের অশান্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস দল কোনোভাবেই জড়িত নয়, বললেন মমতা। সেখানে ঝামেলা পাকানোতেও বিরোধীদের এবং এলাকার গ্রামবাসীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বকে খাড়া করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনামে এসেছে ভাঙরের অশান্তি। বারবার আঙুল উঠেছে তৃণমূলি গুন্ডাদের দিকে। মুখে যখন দলের নেতা-কর্মীদের কড়া শাসনের বার্তা দিচ্ছেন ঠিক তখনই দলের যে সমস্ত কর্মীরা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তাদের আগলে রাখার চেষ্টাও চালিয়ে গেলেন মমতা। কেন এই দ্বিচারিতা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এই প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সব জেনেবুঝে অসত্য বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।"

আজ কোর কমিটির বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাস্তায় নেমে কাজ করার চাইতে বেশি আগ্রহী সংবাদ মাধ্যমে মুখ দেখাতে। অথচ সহিষ্ণুতা, মনুষ্যত্ব এসবের বড্ডই অভাব এদের মধ্যে। অপরদিকে নিজের দলকে স্বচ্ছতার প্রতিমূর্তি হিসেবে দেখিয়ে তিনি গর্বের সাথে বলেন, তৃণমূল ছাড়া আর কোনো দলই মিডিয়ার সামনে মিটিং করার সাহস রাখে না। তিনি এবং তাঁর দল রাখে। কারণ তাঁরা স্বচ্ছ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মিডিয়ার সামনে মিটিং করাই কি শুধুমাত্র স্বচ্ছতার মাপকাঠি?

দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ফেঁসে রয়েছেন বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে। একই জেলায় দলের দুই বড় মাপের নেতার মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিঘ্নিত হয় এলাকার শান্তি। ঘুষ নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সিন্ডিকেট কেলেঙ্কেরি- কি নেই তাঁর দলের কেলেঙ্কারির ঝুলিতে? তাঁর পরেও কি করে অবলীলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে স্বচ্ছতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? এসবকে কি করে বরদাস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তবে কি তাঁর স্বচ্ছতারই অভাব রয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী রাজনৈতিক মহল।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.