Header Ads

চীনা অ্যাপ বয়কট নিয়ে নুসরাতের সুরেই কথা বললেন সোহম

নজরবন্দি ব্যুরোঃ লাদাখে চীনা অগ্রাসনের জবাব দিতে ভারতে বন্ধ করা হয়েছে ৫৯ টি চীনা অ্যাপ। এর মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি অতি জনপ্রিয় অ্যাপ। তার মধ্যে একটি হল টিকটক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার সার্থে তিনি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছেন। নুসরাতের সুরেই এবার বলতে শোনা গেলো তৃণমূল যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটর তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে। সোহম বলেন, নোংরা রাজনীতি করেছে চীন। চীনের বিরোধীতা করতেই হবে কারণ তাঁদের জন্য গোটা দেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার যে অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে তাঁর ফলে কি শহীদ ভারতীয় সৈনদের প্রান ফিরে আসবে? সোহম চক্রবর্তী কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার সঙ্গে সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা হানা বসিয়েছে।

 তিনি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, গোটা বিশ্ব করোনার কবলে। কিন্তু ৬ বছর আগে কেন্দ্রে মোদির সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই টার্গেট করা হয়েছে বাংলাকে। তিনি মোদি সরকারের সাথে করোনা মহামারির তুলনা করে বলেন, বাংলাকে টার্গেট করা সেই সব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বাংলার যুবশক্তির কর্মসূচীতে মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের যান তৃণমূল যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটর সোহম চক্রবর্তী। সেখানে যুবশক্তির সদস্যদের নিয়ে সভা করেন তিনি। সেই সভাতেই চীনা অ্যাাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে এই রুপ মন্তব্য করেন তিনি। যুবকর্মীদের উদ্দেশ্যে সোহম বলেন, কোনওভাবেই যাতে ব্যক্তিস্বার্থকে দলের ঊর্দ্ধে না আনা হয়। তিনি বলেন, এই নিয়ে যারা বিরোধীতা করছেন তাঁরা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করছেন। বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, মিডিয়াতে মাইলেজ নেওয়ার চেষ্টা যারা আছেন তাদের সেখানেই থাকতে দিন। ডিজিটালাইজেশনের দিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। আর এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার যে একটা বড় ভুমিকা আছে তাও তিনি আকাধিক বার মনে করিয়েদেন দলের সদস্যদের। সোহম মনে করেন, আত্মসমালোচনা মানে নিজেদের দুর্বলতা প্রমান করা নয়।

দল নেত্রীর আদর্শ থেকে কিছুটা হলেও যারা সরে গেছেন তাঁদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনাই একমাত্র লক্ষ বলে তিনি মনে করেন। এদিন যুবশক্তির কর্মসূচী সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা যুব সভাপতি প্রসেনজিত্‍ চক্রবর্তী, কার্যকরী সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী এবং প্রমুখ। এবং ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি লজে আয়োজিত যুবশক্তির সভায় অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন, যুব সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা এবং প্রমুখ।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.