Header Ads

দশম-দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু করা নিয়ে ভাবনা শুরু!

নজরবন্দি ব্যুরো: গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে সব থেকে খারাপ অবস্থা মহানগর কলকাতার, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন আক্রান্ত বেড়ে শুধু কলকাতাতেই এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩১১ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ টি মৃত্যু বেড়ে কলকাতায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের যার মধ্যে কো-মর্বিডিটির জন্যে মারা গিয়েছেন ৫২ জন এবং শুধু করোনা ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছেন ১০৮ জন।এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭৮ জন এবং বাকি ৬৭৩ জন চিকিৎসাধীন। কলকাতার পরেই রয়েছে হাওড়ার নাম।
হাওড়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন আক্রান্ত বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭১ জন।
যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭৩ জন, এবং মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। বাকি ৩৬৬ জন চিকিৎসাধীন। মৃত ৩২ জনের মধ্যে কো-মর্বিডিটির জন্যে মারা গিয়েছেন ৫ জন এবং শুধু করোনা ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছেন ২৭ জন। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৫, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩৩ জন এবং মারা গিয়েছেন ৩২ জন। মৃত ৩২ জনের মধ্যে কো-মর্বিডিটির জন্যে মারা গিয়েছেন ৮ জন এবং শুধু করোনা ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছেন ২৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭! হুগলির মোট আক্রান্ত এই মুহূর্তে ১৪৭!

যদিও এই ভাইরাসের সংক্রমণ আটতে লকডাউন চলছে গোটা দেশ জুড়ে। এই লকডাউন যে কবে উঠবে তা এখনি বলা বেশ কঠিন। আর এই লকডাউনের কারণে বন্ধ আছে গোটা দেশের স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এবার দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণী পড়ুয়াদের নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে শিক্ষকদের। আর এই দুই শ্রেণীকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ক্লাস শুরু করার দাবি তুলল শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের দু-টি সংগঠন। তাদের দাবি, যেহেতু এই দুটি ক্লাসের পড়ুয়াদের পর্ষদ এবং কাউন্সিলের পরীক্ষা দিতে হবে, তাই এদের ক্লাস শুরু করা হোক। তাতে দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হবে। তাদের বক্তব্য, একেকটি কক্ষে জনা কুড়ি পড়ুয়াকে বসিয়ে ক্লাস চলুক।
তবে, স্কুল খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি এবং স্কুল অব হেডমিস্ট্রেসেস অ্যান্ড হেডমাস্টার্স-এর তরফে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে রবিবার এই আবেদন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের একদিন অন্তর ডাকা যেতে পারে। তবে, প্রতি স্কুলে অন্তত একটি থার্মাল গান এবং অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হোক। যতদিন না খুলছে, ততদিন বাংলার শিক্ষা পোর্টালকে আরও কার্যকর করতে শিক্ষকদের আরও বেশি করে কাজে লাগানোর দাবিও তোলা হয়েছে।  

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.