Header Ads

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের গ্রিনজোনের বাসিন্দাদের জন্য অনুমতি দিল কেদারনাথ দর্শনের।

নজরবন্দি ব্যুরো: উত্তরাখণ্ডের গ্রিন জোনের বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হলো কেদারনাথের মন্দিরের দরজা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন কিছু শর্ত মেনেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুধু গ্রিনজোনের যাত্রীদের জন্য মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেড ও অরেঞ্জ জোনের পূণ্যার্থীদের প্রবেশের কোনো অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। উত্তরাখণ্ডে সেভাবে সংক্রমণ ছড়ায়নি, ১৩ টি জেলার মধ্যে ১০টি গ্রিনজনে, ২টি অরেঞ্জ ও ১টি মাত্র রেড জোনে। তাই রাজ্যে সংক্রমনের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছেন দর্শনার্থীদের জন্য যে- যারা আসবেন মন্দিরে তাঁরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে সেটাও নজরে রাখবে পুলিশ ও প্রশাসন। গোটা দেশকে গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোন করে দেশের চেহারাটা একেবারে বদলে গেছে। এখনও দেশে গ্রিনজোনে ৪৩.৫ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানায় ৪ তারিখ থেকে গ্রিনজোন পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে।
 করোনার প্রভাবে সমস্ত ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার লকডাউন এর মেয়াদ বৃদ্ধি করে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোনে আগামী ১৭ ই মে পর্যন্ত ধর্মীয় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বুধবারই খুলে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথের দরজা এবং সরকারি নির্দেশ মেনে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সহ ২০জন উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের দরজা খোলার অনুষ্ঠানে। শুধু কেদারনাথ নয় গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ও বদ্রীনাথের মন্দিরের দরজাও খুলে দেওয়া হয়। উত্তরাখণ্ডের এই চার তীর্থস্থানে পুণ্যার্থীরা যাত্রা করেন। টাইম মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত জানিয়েছেন যে- আমরা চাই মানুষ এইসব তৃতীয় স্থানে যান। তবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরিস্থিতি বিচার করে। আমরা চাই তীর্থযাত্রীরা সুরক্ষিত থাকুন এবং এই ভয়ের পরিবেশ দূর হোক। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড এতোবড় বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে,তো এই সংকটও কাটিয়ে ওঠা যাবে। 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.