সরকারি নয় ভার্চুয়েল ক্লাস হবে বেসরকারি চ্যানেলে! শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্তে বিতর্ক।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে করোনার আতঙ্কে আগেই বন্ধ হয়েছে স্কুল। এমনকি প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অন্যরকম ক্লাসের ব্যবস্থা করার ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আগামি ৭ থেকে ১৩ই এপ্রিল বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দূরদর্শনে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াবেন করাবেন শিক্ষকরা। রাজ্য জানিয়েছিল ১৮০০১০৩৭০৩৩ নম্বরটি এডুকেশন হেল্পলাইন হিসাবে চালু থাকবে।
সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন করে প্রশ্ন করতে পারবেন ছাত্র ছাত্রীরা। পাশাপাশি বাংলার শিক্ষা পোর্টালে মেইলও করতে পারবেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ক্লাস এইট পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হোম টাস্ক দেওয়া হবে যা স্কুল খোলার পর শিক্ষকরা পরীক্ষা করবেন।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বদলে গিয়েছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যেই। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, শিক্ষকদের দেওয়া সময়ের সাথে, অভিভাবকরা যে সময় চাইছেন এবং দূরদর্শন কর্তৃপক্ষ যে সময় দিচ্ছে তা মিলছে না তাই স্থগিত সিদ্ধান্ত!
এরপরেই শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাস হবে দূরদর্শন বা ডিডি বাংলা নয় এবিপি আনন্দে! বিকেল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত ক্লাশ নেবেন বিশিষ্ট শিক্ষকরা। কিন্তু সরকারি একাধিক টিভি চ্যানেল থাকতে বেসরকারি চ্যানেল কেন? প্রশ্ন তুলেছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ! তিনি এক বার্তায় জানিয়েছেন...
"শিক্ষা দফতরের এমন তুঘলকি সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না ,এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের ভাবা উচিত ছিল সরকার পোষিত বিদ্যালয় গুলিতে পাঠরত শিক্ষকদের অধিকাংশই আসে সাধারণ পরিবার থেকে,অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে কেবল লাইন নাই,ফলে বেসরকারি চ্যানেলে পাঠদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমস্যা হবে,এছাড়া সরকারি চ্যানেল দূরদর্শনে কে এড়িয়ে বেসরকারি চ্যানেল কে বরাত দিয়ে সরকার কোনো আলাদা সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে"
এরপরেই শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাস হবে দূরদর্শন বা ডিডি বাংলা নয় এবিপি আনন্দে! বিকেল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত ক্লাশ নেবেন বিশিষ্ট শিক্ষকরা। কিন্তু সরকারি একাধিক টিভি চ্যানেল থাকতে বেসরকারি চ্যানেল কেন? প্রশ্ন তুলেছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ! তিনি এক বার্তায় জানিয়েছেন...
"শিক্ষা দফতরের এমন তুঘলকি সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না ,এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের ভাবা উচিত ছিল সরকার পোষিত বিদ্যালয় গুলিতে পাঠরত শিক্ষকদের অধিকাংশই আসে সাধারণ পরিবার থেকে,অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে কেবল লাইন নাই,ফলে বেসরকারি চ্যানেলে পাঠদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমস্যা হবে,এছাড়া সরকারি চ্যানেল দূরদর্শনে কে এড়িয়ে বেসরকারি চ্যানেল কে বরাত দিয়ে সরকার কোনো আলাদা সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে"
কোন মন্তব্য নেই