Header Ads

অবশেষে 'ঘাড়ধাক্কা খাওয়া' জুনিয়ার ডাক্তারদের সোয়াব টেস্ট এবং কোয়ারেন্টাইন!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ যে সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন তাঁদের অনেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। চিকিৎসকদের পর এবার ক্ষোভ বেড়েছে ইন্টার্নদের মধ্যে। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা করার পরও ইন্টার্নদের সোয়াব টেস্ট না করা ও কোয়ারেন্টাইন না পাঠানোর ঘটনায় সরব হয়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মোট ১৩ ইন্টার্ন। ক্ষোভের মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ইন্টার্নদের লালা রস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানোর পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। সূত্রের খবর কলকাতা বেলেঘাটা আইডিতে ডিউটি করেছিলেন ১৩ জুনিয়র চিকিৎসক।
এদের মধ্যে ৮ জন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ও পাঁচজন সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পড়ুয়া। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই জুনিয়ার চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে রাজি না থাকলেও স্বাস্থ্য ভবন ও জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়। বিষয়টি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা সরব হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখবন্ধ রাখার হুমক দেয় বলে ইন্টার্নদের অভিভাবকদের অভিযোগ। অন্যদিকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা।
 যে সব জুনিয়র চিকিৎসকরা করোনা রোগীর চিকিৎসা করেছেন তাঁদেরকে কোয়ারেন্টাইনে না পাঠিয়ে হোস্টেলেই রাখা হয়েছে। এমনকি তাদের কারোর সোয়াব পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় নি। এই সব জুনিয়র চিকিৎসকদের মাধ্যমে হাসপাতালের বাকি পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটার আশংকা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই তড়িঘড়ি ওই  জুনিয়র চিকিৎসদের লালারস সংগ্রহ করে সোয়াব টেস্টে পাঠানো হয়। কোয়ারেন্টাইনেরও ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজেও দেখা যায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ জুনিয়র চিকিৎসককে সোয়াব টেস্টের পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে নজরবন্দি পোর্টালে প্রকাশিক হয়েছিল জুনিয়ার চিকিৎসক দের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরনের প্রতিবেদন টি; নীলরতনের সুপারকে জুনিয়ার তথা ইন্টার্ন ডাক্তাররা লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও তিনি কোন উদ্যোগ না নিয়ে স্বাস্থ ভবনের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছিলেন বিষয়টি। জুনিয়ার রা অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সুপারের ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়। 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.