দেশের সমস্ত নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা দিন প্রধানমন্ত্রী; ইতিহাস মনে রাখবে।
অরুনাভ সেন, নজরবন্দিঃ ফিলগুড পরিবেশ তখনই বোধহয় অনূভূত হয় যখন পেটে দানাপানি পড়ে৷ আয়-উপার্জন সুরক্ষিত থাকে৷যখন আমাকে-আপনাকে,আমার- আপনার মত অসংখ্য মানুষকে চিন্তা করতে হয়না কাল কি খাব,কাল কিভাবে চলবে৷কাল কি চালের পয়সা থাকবে,কাল কি ডাল কেনা যাবে,কাল কি বাড়ির শিশুটার বায়না মেটাতে একটুকরো মাছ তার মুখে তুলে দেওয়া যাবে৷
অনেকের মতে লকডাউনের পরে কী ভাবে এগিয়ে যাবে সরকার তার রূপরেখা নির্ধারিত হতে পারে,এমন কি ১৪ এপ্রিলের পরে লকডাউন তোলা হবে, নাকি ধাপে ধাপে তোলা হবে— সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে!সবই জল্পনা!কোনও সন্দেহ নেই
করোনা পরিস্থিতি আর যুদ্ধ পরিস্থিতির সঙ্গে ফারাক নেই৷
আমরা সবাই ভাবছি করোনা থেকে পরিত্রানের উপায়,এই চক্র্যব্যুহ থেকে উত্তরণের পথ৷করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অক্ষরে-অক্ষরে মানতে হবে৷এছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই৷আবার অস্বীকার করতে পারিনা দেশের কোটি-কোটি মানুষের আয়-রোজগার সব স্তব্ধ৷হাতে টাকা নেই৷আগামীকাল কি বাজার করবেন সেই চিন্তায় মাথার চুল ছিঁড়তে হচ্ছে৷ভাবছেন অনেকেই ভাবছেন কালকের খাবারটা জুটবে তো?আসলে আমি কেন পৃথিবীর বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা অস্বীকার করতে পারছেন না লকডাউনের সময়ে আমাদের দেশে কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ,আগামীদিনে আরও হারাবেন৷তাদের রোজগারের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাবে হবে।’চমৎকার বলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। কেন্দ্রীয় সরকারকে গরিব মানুষ ও বেতনভূক নয় এমন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজন৷কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এমন সময়ে কাজ করতে পারছেন না এমন গরিব ও বেতনভুক নয় এমন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পাশে দাঁড়ানো, যাতে তাঁরা এই সময়ে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।ঠিক এই কথাটা আমরা বারবার বলতে চেয়েছি৷গোটা লকডাউন প্রক্রিয়াটা ব্যর্থ হতে পারে যদি মানুষ খাবার আর অর্থের সংস্থানে পথে নেমে আসে৷এবং সেই আশঙ্কা কিন্তু অমুলক নয়৷ভারতবর্ষে মোটামুটি ভাবে ১৩০কোটি মানুষ আছেন৷তর্কের যদি ধরে নিই প্রতিটা সংসার যদি গড়ে মাসে সরকারের থেকে বেঁচে থাকার জন্য ১টি মাস ৪০০০টাকা পায় তাহলে সরকারের লাগবে ৫২হাজার কোটি টাকা৷প্রকৃত পরিসংখ্যান না থাকলেও আমি ধরে নিলাম ১০০কোটি মানুষ আছেন যাদের মাসে ৪০০০টাকা দিলে তারা খেয়ে-পরে বেঁচে যাবেন৷১০০কোটি মানুষের জন্য সরকারের খরচ হবে ৪৪হাজার কোটি টাকা৷
কারন করোনার বিরুদ্ধে ভারত যুদ্ধ ঘোষনা করেছে৷সম্ভবত লকডাউন আরও বাড়বে!এমতাবস্থায় সাধারন মানুষের হাতে অর্থ নেই অতএব সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারা নেমে আসবেন পথে৷সরকার যদি সত্যিই চায় করোনাকে রুখতে তবে সরাসরি টাকা দিতে হবে নিন্মমধ্যবিত্ত আর গরিব মানুষের একাউন্টে৷অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের মুখে দেশের অর্থনীতি। মোকাবিলায় এক বছরের জন্য মন্ত্রী-সাংসদদের বেতনের ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি দু’বছরের জন্য সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল(এমপি ল্যাড)-এর টাকাও বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।সরকারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সঠিক এবং সময়োচিত, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় এই অর্থ বরাদ্দ করা হবে। এমপি ল্যাড-এর টাকা বরাদ্দ বন্ধ করা নিয়ে অনেকের মুখে আপত্তি শুনেছি৷এই সিদ্ধান্তটি গোটা দেশের মানুষকে বাঁচাতে সরকার নিয়েছেন৷আপনারা এমনিই সবাই উন্নয়নের প্রতীক তবে এমপি ল্যাডের বরাদ্দ অর্থ বন্ধে এত আপত্তি কিসের? অধীর চৌধুরীর মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অবিচার’।এই বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একেবারে সহমত নই৷আমরাও জানি সাংসদ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ বহু সাংসদ ঠিকঠাক খরচ করতেই পারেন না৷আজ দেশ বিপদে৷প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল৷সেখানে সাংসদদের এলাকার উন্নয়নের খাতের কেন্দ্র সরাসরি করোনা মোকাবিলায় খরচ করলে সাংসদদের আপত্তি থাকতে গোটা দেশের মানুষের নেই৷রাজনীতিবিদরা নাকি পালস বোঝেন৷আরে আগে মানুষের পেট ভর্তি হোক,তারপর উন্নয়নের গল্প শুনব৷লোকের হাতে টাকা নেই,সারাদেশের মানুষ আত্মত্যাগ করছে,কাজ নেই,অর্থ নেই৷তাদের কে বাঁচাতে হবে,সরকারের অধিকার আছে সাংসদদের উন্নয়ন খাতের অর্থ করোনা মোকাবিলায় খরচ করার৷
আমরা সবাই ভাবছি করোনা থেকে পরিত্রানের উপায়,এই চক্র্যব্যুহ থেকে উত্তরণের পথ৷করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অক্ষরে-অক্ষরে মানতে হবে৷এছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই৷আবার অস্বীকার করতে পারিনা দেশের কোটি-কোটি মানুষের আয়-রোজগার সব স্তব্ধ৷হাতে টাকা নেই৷আগামীকাল কি বাজার করবেন সেই চিন্তায় মাথার চুল ছিঁড়তে হচ্ছে৷ভাবছেন অনেকেই ভাবছেন কালকের খাবারটা জুটবে তো?আসলে আমি কেন পৃথিবীর বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা অস্বীকার করতে পারছেন না লকডাউনের সময়ে আমাদের দেশে কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ,আগামীদিনে আরও হারাবেন৷তাদের রোজগারের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাবে হবে।’চমৎকার বলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। কেন্দ্রীয় সরকারকে গরিব মানুষ ও বেতনভূক নয় এমন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজন৷কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এমন সময়ে কাজ করতে পারছেন না এমন গরিব ও বেতনভুক নয় এমন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পাশে দাঁড়ানো, যাতে তাঁরা এই সময়ে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।ঠিক এই কথাটা আমরা বারবার বলতে চেয়েছি৷গোটা লকডাউন প্রক্রিয়াটা ব্যর্থ হতে পারে যদি মানুষ খাবার আর অর্থের সংস্থানে পথে নেমে আসে৷এবং সেই আশঙ্কা কিন্তু অমুলক নয়৷ভারতবর্ষে মোটামুটি ভাবে ১৩০কোটি মানুষ আছেন৷তর্কের যদি ধরে নিই প্রতিটা সংসার যদি গড়ে মাসে সরকারের থেকে বেঁচে থাকার জন্য ১টি মাস ৪০০০টাকা পায় তাহলে সরকারের লাগবে ৫২হাজার কোটি টাকা৷প্রকৃত পরিসংখ্যান না থাকলেও আমি ধরে নিলাম ১০০কোটি মানুষ আছেন যাদের মাসে ৪০০০টাকা দিলে তারা খেয়ে-পরে বেঁচে যাবেন৷১০০কোটি মানুষের জন্য সরকারের খরচ হবে ৪৪হাজার কোটি টাকা৷
কারন করোনার বিরুদ্ধে ভারত যুদ্ধ ঘোষনা করেছে৷সম্ভবত লকডাউন আরও বাড়বে!এমতাবস্থায় সাধারন মানুষের হাতে অর্থ নেই অতএব সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারা নেমে আসবেন পথে৷সরকার যদি সত্যিই চায় করোনাকে রুখতে তবে সরাসরি টাকা দিতে হবে নিন্মমধ্যবিত্ত আর গরিব মানুষের একাউন্টে৷অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের মুখে দেশের অর্থনীতি। মোকাবিলায় এক বছরের জন্য মন্ত্রী-সাংসদদের বেতনের ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি দু’বছরের জন্য সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল(এমপি ল্যাড)-এর টাকাও বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।সরকারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সঠিক এবং সময়োচিত, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় এই অর্থ বরাদ্দ করা হবে। এমপি ল্যাড-এর টাকা বরাদ্দ বন্ধ করা নিয়ে অনেকের মুখে আপত্তি শুনেছি৷এই সিদ্ধান্তটি গোটা দেশের মানুষকে বাঁচাতে সরকার নিয়েছেন৷আপনারা এমনিই সবাই উন্নয়নের প্রতীক তবে এমপি ল্যাডের বরাদ্দ অর্থ বন্ধে এত আপত্তি কিসের? অধীর চৌধুরীর মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অবিচার’।এই বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একেবারে সহমত নই৷আমরাও জানি সাংসদ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ বহু সাংসদ ঠিকঠাক খরচ করতেই পারেন না৷আজ দেশ বিপদে৷প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল৷সেখানে সাংসদদের এলাকার উন্নয়নের খাতের কেন্দ্র সরাসরি করোনা মোকাবিলায় খরচ করলে সাংসদদের আপত্তি থাকতে গোটা দেশের মানুষের নেই৷রাজনীতিবিদরা নাকি পালস বোঝেন৷আরে আগে মানুষের পেট ভর্তি হোক,তারপর উন্নয়নের গল্প শুনব৷লোকের হাতে টাকা নেই,সারাদেশের মানুষ আত্মত্যাগ করছে,কাজ নেই,অর্থ নেই৷তাদের কে বাঁচাতে হবে,সরকারের অধিকার আছে সাংসদদের উন্নয়ন খাতের অর্থ করোনা মোকাবিলায় খরচ করার৷

No comments