করোনা আবহে বনগাঁর হাসপাতালে আয়োজিত হল রক্তদান শিবির।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বনগাঁয় একটি হাসপাতালে আয়োজিত হল রক্তদান শিবির। মাস্ক পরে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে লম্বা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছেন বেশ কিছু মহিলা ও পুরুষ। জিজ্ঞেস করতে জানা গেল হসপিটালে চলছে রক্তদান শিবির। আর ওই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে স্থানীয় একটি ক্লাবের প্রায় ২৫ জন সদস্য। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে চলছে লকডাউন। ফলে আয়োজিত হচ্ছে না কোন রক্তদান শিবির। ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের পরিমাণ কমে আসছে। কারণ রাজ্যের সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে মূলত রক্ত আসে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং অন্যান্য সংগঠন দ্বারা আয়োজিত রক্তদান শিবির থেকে। করোনার কারনে সমস্ত রক্তদান শিবির বাতিল করা হয়েছে।
তাই রক্তের আকাল দেখা দিতে শুরু করেছে। এদিন রক্তের অভাব মেটাতে বনগাঁ ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক গোপাল পোদ্দারের তত্ত্বাবধানে চলল রক্তদান কর্মসূচি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বনগাঁ ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষকে প্রয়োজনে রক্ত নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় রাজ্যের একাধিক হাসপাতালেও এখান থেকে রক্ত যায়। দ্রুত পরিষেবা ও ভাল কাজ করার জন্য পরিচিত এই ব্লাড ব্যাঙ্ক। রাজ্য সরকার বিশেষ সন্মান দিয়েছে। এই মুহুর্তে গোটা দেশ জুড়ে যে ভয়ানক পরিস্থিতি চলছে সেই দিকে খেলায় রেখেই চিকিৎসক গোপাল পোদ্দারের এই রক্তদান কর্মসূচি। এলাকার বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে রক্ত রক্ত দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। তাঁর ডাকে সারা দিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবের ২৫ জন সদস্য এই কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, সংকটের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ালাম, ভালো লাগছে। চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার জানান, রক্ত ৩৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখা যায়। রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়েছে বেশ কিছু রক্তদান শিবির। তাই কিছু স্থানীয় মানুষকে ফোন করে রক্ত দিতে বলেছিলাম। ক্লাবের ২৫ জন যুবক-যুবতী রক্ত দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, সংকটের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ালাম, ভালো লাগছে। চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার জানান, রক্ত ৩৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখা যায়। রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়েছে বেশ কিছু রক্তদান শিবির। তাই কিছু স্থানীয় মানুষকে ফোন করে রক্ত দিতে বলেছিলাম। ক্লাবের ২৫ জন যুবক-যুবতী রক্ত দিয়েছেন।

No comments