Header Ads

আপার প্রাইমারিতে দুর্নীতি, তবুও নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত, ভাগ্য খুলতে চলেছে অনেকের

নজরবন্দি ব্যুরো: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের বড় ধাক্কা খেল SSC । গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, ' মোট আসনের মধ্যে ৩০টি পদ ফাঁকা রেখে বাকি শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।' আদালতের এই নির্দেশের পরে স্পষ্ট হয়ে গেল কমিশন নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম করেছে।

প্রায় চার বছর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষা বিভাগে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৭ সালে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেয় কমিশন।
মিস শেফালি কে সবাই ভুলে গেছে; তাঁর প্রয়ানে সেই ভুলে যাওয়া আরো সহজ হবে!
 এর পরে ২০১৮ সালে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা তৈরি করে কমিশন।
অনেক আন্দোলন ও প্রতিবাদের পরে গত বছর অর্থা‍ৎ ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরি-প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ ছিল, 'কমিশন যে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। প্রশিক্ষণ নেই যাঁদের, তাঁদের নামও নিয়োগ তালিকায় রয়েছে। এমনকি, যাঁরা সংরক্ষিত আসনে পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁদের প্রথম দিকে স্থান থাকার পরেও প্যানেলে অনেক পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই সব পরীক্ষার্থীরা।
এর পরে আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানায়, 'কমিশনের দুর্নীতির কারণেই প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরাও মেধাতালিকাতে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্যরা।' এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি বেশকিছু বিষয় জানতে চান।
সাবস্ক্রাইব করুন নজরবন্দির ইউটিউব চ্যানেল। 

 বিচারপতি বলেন 'কতগুলি শূন্যপদে নিয়োগ বাকি রয়েছে?' জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, '৭০টি পদ এখনও খালি পড়ে আছে।' তখন বিচারপতি নির্দেশ দেন, 'যেহেতু ৩০ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন, তাই ৩০টি পদ ফাঁকা রেখে, বাকি ৪০ পদে নিয়োগ করতে পারে কমিশন।' 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.