টিজিটি দিতে বাধ্য করা হবে রাজ্য সরকার কে; ১০ তারিখ থেকে ব্যাপক আন্দোলনে BGTA !
নজরবন্দি ব্যুরোঃ তঞ্চকরা করছে রাজ্য সরকার; টিজিটি স্কেল আদায় করতে ব্যাপক আন্দলনে নামছে বিজিটিএ। আগামি ১০ ই ফেব্রুয়ারী থেকে বিকাশ ভবনের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে ধর্ণা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বিজিটিএ'র করা টিজিটি স্কেলের আদালত অবমাননা মামলাকে গতকাল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই মহামান্য হাইকোর্ট গ্র্যাজুয়েট টিচারদের বঞ্চনা দুর করে সর্বভারতীয় বেতনক্রমের সাথে সাযুজ্য রেখে গ্রেড পে ও স্কেল নির্ধারণ করতে বলে রীট অফ ম্যান্ডামাস জারী করে।
কিন্তু সরকারী তরফে বিজিটিএ কে নিয়ে পে কমিশনে একটি হেয়ারিং করা হলেও ঘোষিত পে কমিশনে তার কোন প্রভাব পড়েনি। ফলে আবার আদালত অবমাননা মামলা করে হাই কোর্টের দারস্থ হয় 'বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান বা বিজিটিএ। হাই কোর্টে কয়েকটা হেয়ারিং এ সরকারী পক্ষের তালবাহানার পর গত ২১ শে জানুয়ারী ২০২০ মহামান্য হাইকোর্ট ১১ ই ফেব্রুয়ারী'র মধ্যে গত ২২শে জুলাইয়ের রায় মেনে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলে। অন্যথায় ঐ ১১ ই ফেব্রুয়ারী বেলা ৪টের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি কে কোর্টে হাজির করানো হবে বলে কোর্ট অন্তর্বতী আদেশ জারি করে। এই রায়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট টিচাররা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন।
কিন্তু গতকাল দ্বিতীয়ার্ধে সরকারী তরফে এই অন্তর্বতী আদেশ কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য সরকার। খবর চাউর হতেই পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জেলার গ্র্যাজুয়েট টিচার রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের রোষ গিয়ে পড়ে রাজ্য সরকারের উপরে। স্কুল ফেরৎ টিচারদের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে রাজ্য সরকারের টিজিটি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ব্যাপারটি।
বিজিটিএ'র যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ও বিজিটিএ দঃ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব স্বপন কুমার মন্ডল জানান,"পশ্চিম বঙ্গের গ্র্যাজুয়েট টিচারদের সাথে তঞ্চকতা করে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের রীট অফ ম্যান্ডামাস কে অস্বীকার করে ষষ্ঠ বেতন কমিশনে আরও একবার গ্র্যাজুয়েট টিচারদের বঞ্চিত করা হয়েছে। হাই কোর্ট পুনরায় হস্তক্ষেপ করলে এখন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে সরকার প্রমান করলো যে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করতে চাইছেন রাজ্যের লক্ষাধিক গ্র্যাজুয়েট টিচারকে।"
বিজিটিএ রাজ্য সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "বিজিটিএ সরকারের এই পদক্ষেপে মোটেই ভীত নয়,কেননা তারা জানে যে শেষপর্যন্ত সত্যেরই জয় হবে। ডিভিশন বেঞ্চে লড়াই করে বিজিটিএ আবার জয় ছিনিয়ে আনবে। প্রয়োজনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ও তারা কড়া নাড়বে।" তিনি আরো জানান, " আইন আইনের পথে চলবে পাশাপাশি বিজিটিএ আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারী থেকে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্ণা বিক্ষোভ শুরু করতে চলেছে। একদিকে আইন অন্যদিকে আন্দোলন, আমরা সরকারকে বাধ্য করবো টিজিটি দিতে!"
প্রসঙ্গত, বিজিটিএ'র করা টিজিটি স্কেলের আদালত অবমাননা মামলাকে গতকাল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই মহামান্য হাইকোর্ট গ্র্যাজুয়েট টিচারদের বঞ্চনা দুর করে সর্বভারতীয় বেতনক্রমের সাথে সাযুজ্য রেখে গ্রেড পে ও স্কেল নির্ধারণ করতে বলে রীট অফ ম্যান্ডামাস জারী করে।
কিন্তু সরকারী তরফে বিজিটিএ কে নিয়ে পে কমিশনে একটি হেয়ারিং করা হলেও ঘোষিত পে কমিশনে তার কোন প্রভাব পড়েনি। ফলে আবার আদালত অবমাননা মামলা করে হাই কোর্টের দারস্থ হয় 'বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান বা বিজিটিএ। হাই কোর্টে কয়েকটা হেয়ারিং এ সরকারী পক্ষের তালবাহানার পর গত ২১ শে জানুয়ারী ২০২০ মহামান্য হাইকোর্ট ১১ ই ফেব্রুয়ারী'র মধ্যে গত ২২শে জুলাইয়ের রায় মেনে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলে। অন্যথায় ঐ ১১ ই ফেব্রুয়ারী বেলা ৪টের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি কে কোর্টে হাজির করানো হবে বলে কোর্ট অন্তর্বতী আদেশ জারি করে। এই রায়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট টিচাররা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন।
বিজিটিএ রাজ্য সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "বিজিটিএ সরকারের এই পদক্ষেপে মোটেই ভীত নয়,কেননা তারা জানে যে শেষপর্যন্ত সত্যেরই জয় হবে। ডিভিশন বেঞ্চে লড়াই করে বিজিটিএ আবার জয় ছিনিয়ে আনবে। প্রয়োজনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ও তারা কড়া নাড়বে।" তিনি আরো জানান, " আইন আইনের পথে চলবে পাশাপাশি বিজিটিএ আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারী থেকে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্ণা বিক্ষোভ শুরু করতে চলেছে। একদিকে আইন অন্যদিকে আন্দোলন, আমরা সরকারকে বাধ্য করবো টিজিটি দিতে!"

No comments