Header Ads

রাতারাতি নায়ক থেকে খলনায়ক- রাজনীতিতে আসাটাই কি তাঁর জীবনে কাল?

নজরবন্দি ব্যুরো: উত্তম কুমার মারা যাওয়ার পরেই টালিগঞ্জ পাড়ায় এক হই হই রব পড়ে গেল- বাংলা ছবির হাল ধরার মতো কেউই আর রইল না। সেই বছরই তরুণ মজুমদারের দাদার কীর্তি ছবিটি মুক্তি পেল নবাগত তাপস পালের লিপে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান "চরনও ধরিতে দিওগো আমারে" ও জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত তখন সমস্ত শিক্ষিত মধ্যবিত্তের মুখে মুখে সবার মনে একটাই প্রশ্ন কে এই নবাগত অভিনেতা তাপস পাল? চন্দননগরের এই যুবক একাধারে দাপিয়ে বেরিয়েছিল বাংলা ছবির জগতে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবশ্রী রায় ও মহুয়া রায়চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করে গেছেন। দাদার কীর্তি, ভালোবাসা ভালোবাসা, অনুরাগের ছোঁয়ার মতো বহু সিনেমা ভক্তদের জন্য রেখে গেছেন। ধীরে ধীরে এই অভিনেতা জড়িয়ে পড়লে নানা বিতর্কে। চন্দননগর থেকে কলকাতায় আসার পর সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনদের বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর নামে।
এছাড়া নিজের মায়ের সাথে অবহেলার কথাও কাগজে উঠেছিল। তাপস পাল যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করল মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে সেটাই হলো তার জীবনের "কাল"। তার মুখ থেকে শিক্ষিত বাঙালির শুনলো-" ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে দেবো" তখন তিনি রাতারাতি নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে গেলেন। ধীরে ধীরে রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেন তারপর গ্রেফতার করা হলো তাঁকে। তারপর থেকেই তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাঙতে শুরু করলেন। আজ তিনি নেই কিন্তু উনাকে নিয়ে নেটিজেনদের দিনভর পোস্ট কেউ মনে করছে মাথায় মাফলার দেওয়া ২২ বছরের সেই নিষ্পাপ তরুণকে, আবার কেউ রাজনীতির পাঁক্-কাঁদা ঘাটা চন্দননগরের "মাল"। যে চলে গেল সে কি বলছে- "এই করেছ ভালো নিঠুর হে"।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.