মিস শেফালি কে সবাই ভুলে গেছে; তাঁর প্রয়ানে সেই ভুলে যাওয়া আরো সহজ হবে!
নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজ প্রয়াত হলেন মিস শেফালি।তাঁর আসল নাম ছিল আরতি দাস। সাতের এর দশক থেকে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন মিস শেফালি। তিনি ছিলেন বাঙালির প্রথম ক্যাবেরে ডান্সার।আজ সকাল ছয় টায় তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি ছিল সোদপুরের নিজের বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে তিনি রাতপরী আখ্যা পেয়েছিলেন।আরতি দাস থেকে মিস শেফালী হয়ে ওঠার যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না। খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আরতী দাস। বাবা, মা, ভাই, বোনের, মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য তিনি খুব ছোটবেলাতেই এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাড়িতে তাদের নাচ দেখেই তাঁর প্রথম নাচের শিক্ষা নেওয়া।এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর ক্যাবারে ড্যান্সারের জীবনযাত্রা। আর আরতী থেকে মিস শেফালি হয়ে ওঠা। তিনি বিভিন্ন ভঙ্গি ডান্স অনুশীলন করেন। পরে বিভিন্ন হোটেলে ক্যাবারে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করা আরম্ভ করেন। প্রথম দিনের কথা এখনও ভুলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বহুবার তিনি। ৭০০ টাকা মাসে পাবেন শুনে খুব আনন্দ পেয়েছিলেন।
কিন্তু যে পোশাক পড়ে তাকে নাচ করতে হবে তা দেখে কিন্তু তিনি আর কান্না ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু ছোট ছোট ভাই বোনের কান্নার কথা মাথায় রেখে সে পোশাক পড়ে নাচতে নেমেছিলেন তিনি সেই রাতে। গ্র্যান্ড, পার্ক ছবিতে বিভিন্ন হোটেলে তিনি দিনের পর দিন ক্যাবরে ডান্সার হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীকালে তিনি থিয়েটারে অভিনয় করা শুরু করেন। খ্যাতনামা নির্দেশক সত্যজিৎ রায় তাঁর ছবিতে মিস শেফালি কে কাস্ট করেন। তাঁর নাচ দেখে মুগ্ধ হন মহানায়ক উত্তম কুমার। কিন্তু আজ সবাই তাকে ভুলে গেছে আর তাঁর না থাকায় এই ভুলে যাওয়া আরো অনেকটা সহজ হবে।
তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে তিনি রাতপরী আখ্যা পেয়েছিলেন।আরতি দাস থেকে মিস শেফালী হয়ে ওঠার যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না। খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আরতী দাস। বাবা, মা, ভাই, বোনের, মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য তিনি খুব ছোটবেলাতেই এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাড়িতে তাদের নাচ দেখেই তাঁর প্রথম নাচের শিক্ষা নেওয়া।এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর ক্যাবারে ড্যান্সারের জীবনযাত্রা। আর আরতী থেকে মিস শেফালি হয়ে ওঠা। তিনি বিভিন্ন ভঙ্গি ডান্স অনুশীলন করেন। পরে বিভিন্ন হোটেলে ক্যাবারে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করা আরম্ভ করেন। প্রথম দিনের কথা এখনও ভুলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বহুবার তিনি। ৭০০ টাকা মাসে পাবেন শুনে খুব আনন্দ পেয়েছিলেন।
No comments