Header Ads

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ হয়েও সিন্ডিকেটের হুমকি থেকে রেহাই মেলেনি কৃষ্ণা বসু,সুগত বসুর৷

নজরবন্দি ব্যুরোঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বম্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই সিন্ডিকেটরাজের বিরুদ্ধে বার্তা দিলেও সেই বার্তায় কতটা কাজ হয়েছে সারা বাংলার ভুক্তভোগী মানুষরা জানেন!সালটা ২০১৭৷বাড়ির কিছু সংস্কারের কাজ চলছে তৃণমূলের এক প্রাক্তন আর তখনও বর্তমান সাংসদের বাড়িতে৷কিন্তু সিন্ডিকেট সে তো রাজ্য প্রশাসনের থেকেও শক্তিশালী!ইট,বালি,পাথর তাদের থেকেই নিতে হবে বাজার ছাড়া অনেক বেশী দামে৷আর যদি না নেন,তবে আপনাকে রক্ষা করার কেউ নেই!সালট ২০১৭,৯০ নম্বর শরৎ বসু রোডে তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসুর পৈতৃক বাড়ির দোতলার বারান্দায় জাফরির মেরামতি চলছিল। তার জন্য বাঁধাও হয়েছিল ভারা৷সবই ঠিকঠাক চলছিল৷হঠাৎ বাইক সওয়ার হয়ে সকালে ছয় যুবকের আগমন৷ নিজেদের তৃণমূলকর্মী পরিচয় দিয়েছিলেন৷কারন সেই ২০১৭সালে তৃণমূল মানে সব অনিয়মটা নিয়ম৷অথবা বলা যেতে পারে তৃণমূল করলেও সব অন্যায় একপ্রকার মাপ৷সিন্ডিকেটের মাথাদের মাথায়ও শাসক দলের বড় মাপের মাথাদের প্রশ্রয়৷সঙ্গে প্রশাসনের আঁতাত৷ আগন্তুক যুবকরা রাগতস্বরে জানতে চাইল, বাড়ি সারাইয়ের অনুমতি আছে কি না।
কিন্তু সেই সময় অবশ্য তারা চলে গেলেও ফের ফিরে আসে,ঘড়িতে তখন কম-বেশী দুপুর একটা৷ কেন তাদের কাছ থেকে সিমেন্ট-বালি নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে ৮৬ বছরের কৃষ্ণা বসুকে তারা প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়৷তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে দাবি করা ছয় যুবক বেশ রুদ্র মূর্তিতে কৃষ্ণাদেবীর কাছ থেকে জানতে চায় কার অনুমতি নিয়ে মেরামতির কাজ হচ্ছে৷ শুধু ভাবুন একটু আপনারা৷ চেঁচামেচি শুনে সুগতবাবু দোতলা থেকে নেমে আসেন।তৎকালীন সাংসদকেও রেয়াত করেনি শাসকের প্রশ্রয়ে আশ্রিত সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত যুবকরা৷ যেমনটা তারা অন্যকে বলে ঠিক সেই সুরেই কৃষ্ণা বসু,সুগত বসুকে তারা হুমকির সুরে বলেছিল সিমেন্ট, বালি তাদের কাছ থেকেই নিতে হবে৷এখানেই ক্ষান্ত দেয়নি বসু বাড়ি থেকে উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে ফোন করতে গেলে ওই যুবকদের এক জন বলেছিল ও সব পুলিশকে জানিয়ে কোনও লাভ হবে না।ভাবুন স্পর্ধা,ভাবুন তাদের সাহস,ভাবুন তাদের হুমকির ভাষাটা৷সুগত বসু,কৃষ্ণা বসুর কথা উঠলে কেবল তৃণমূল নয়,বাংলার যেকোনও মানুষের চোখে মা-ছেলে শ্রদ্ধার মানুষ৷আর তৃণমূলের আমলে,তৃণমূলের শাসনে তৎকালীন দিনে তখনকার একজন সাংসদ এবং একজন প্রাক্তন সাংসদকে কিনা পড়তে হয়েছিল শাসক আশ্রিত সিন্ডিকেটের হুমকির খপ্পরে৷তবে এক্ষেত্রে পুলিশ নিস্ত্রিয় হয়ে আর থাকতে পারেনি৷অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছিল৷
শুধু এটুকু মনে আছে এই ব্যাপারে কৃষ্ণা বসুর ছেলে প্রাক্তন সাংসদ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসু ঘটনায় হতচকিত এবং আতঙ্কিত হয়ে বলেছিলেন আমার বাড়িতে কী হল, তা নিয়ে ভাবছি না। কিন্তু আমি ভাবিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হতে পারে, তা নিয়ে।বাংলার মিডিয়ায় এই নিয়ে অনেক কথা হলেও সিন্ডিকেট রাজ আজও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বাংলা জুড়ে৷আজ কৃষ্ণা বসু চলে গিয়েছেন নাম না জানা দেশের উদ্দেশ্যে৷আর ফিরবেন না তিনি৷সারাজীবন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন,জন্মগ্রহন করেছিলেন ঢাকা শহরে৷অধ্যাপনা করেছেন জীবনের দীর্ঘসময়,পাশাপাশি সারাজীবন ব্যস্ত থেকেছেন জ্ঞান অর্জনে,ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সেই জ্ঞান অকাতরে বিতরনে৷স্বচ্ছ,সৎ ,শিক্ষাবিদ রাজনীতিবিদরা ক্রমশ বাংলায় বিলুপ্ত হচ্ছেন৷তালিকায় আরও এক সংযোজন কৃষ্ণা বসু৷

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.