Header Ads

ফেসবুকে বন্ধুত্ব আর সেই বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে হতে হলো চরম নির্যাতনের শিকার।


নজরবন্দি ব্যুরোঃ ফেসবুকে বন্ধুত্ব আর সেই বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে হতে হলো চরম নির্যাতনের শিকার। ১ মাস আগে রিক সরকার নামে এক যুবকের সাথে পরিচয় বছর ১৯ এর সঞ্জয় মন্ডলের। সঞ্জয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরা হাটের বাসিন্দা। সঞ্জয়ের দাদা সন্তু মন্ডল জানান, সোমবার কলেজ যাবে বলে বাড়ি থেকে বেড়ায় ভাই সঞ্জয়। কলেজ শেষে শিয়ালদহতে প্রাইভেট টিউশান নিয়ে তার বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সেই দিনই তার সাথে ঘোটে যায় এই অমানবিক ঘটনা। একমাস আগে সঞ্জয়ের সাথে রিক সরকার নামে এক ব্যক্তির ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই দিন রিক সরকার তাকে দেখা করতে বলায় সে ব্যান্ডেলে যায় তার পরে রিক এবং তার এক সঙ্গী দুজনে মিলে সঞ্জয়কে অলিগলি দিয়ে এক জায়গায় নিয়ে যায় ও তার উপরে অমানবিক অত্যাচার চালায়। প্রায় ১১ থেকে ১২ ইঞ্চির এক টা কাঠের টুকরো মলদার দিয়ে সঞ্জয়ের শরীরে ঢুকিয়ে দেয় ওই দুই ব্যক্তি।
 তাকে মারধর করা হয়। তার গালের মাংস খুবলে তুলে নেওয়া হয়। এতেও শেষ নয় অবশেষে তার চুল ও ভ্রু কামিয়ে দেওয়া হয়। ব্যান্ডেলের বাসিন্দারা ওই রাতে আশংকাজনক অবস্থায় যুবকে হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে আহত যুবকের দাদা উপস্থিত হন এবং ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কি কারণে এমন নক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে রিক সরকার নামের ফেসবুক একাউন্টটি আসলে একটি ফেক একাউন্ট। সেখ রহমত আলি নামে এক ব্যক্তি এই একাউন্টটি ব্যবহার করেন। কোনো রকম শত্রুতার কারণেই কি এই ঘটনা? ব্যক্তি দুটি কি মানসিক ভাবে অসুস্থ?
তারা কি এই ঘটনা এর আগেও ঘটিয়েছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুজছে পুলিশ। হাসপাতালের ডাক্তার জানান, প্রায় ১১ থেকে ১২ ইঞ্চির একটা কাঠের টুকরো মলদার দিয়ে সঞ্জয়ের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা মলদার দিয়ে ঢুকে পাকস্থলী ছেদ করে গেছে। পাচঁ ঘন্টা অপারেশন চলেছে। কাঠের টুকরোটি বেড় করা সম্ভব হলেও সঞ্জয়ে এখন গুরুতর অবস্থায় আছে। এখনো সে ভিষণ ভাবে ভিত। সঞ্জয়ের পরিবার জানায়, সঞ্জয় ছোট বেলা থেকেই মেধাবি ছাত্র। সে কলেজের প্রথম বর্ষে ছাত্র। ঠিক কি কারণে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে গেল তা সবার চিন্তাধারার বাইরে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.