সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের হানায় ধীবরের মৃত্যু
নজরবন্দি ব্যুরোঃ ফের সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক ধীবরের। ঘটনাটি ঘটে সুন্দরবনের ঝিলা দুই নম্বর জঙ্গল লাগোয়া ছোট চিলমারি খালে। মৃত ধীবর দুর্গাপদ মণ্ডল (৫০) দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার কুমিরমারি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার ধীবর দুর্গাপদ ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা দুজন একটি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে যখন স্বামী স্ত্রী কাঁকড়া ধরতে ব্যস্তছিলেন সেই সময়ই আচমকা জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে দুর্গাপদর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর বাঘ ধীবরের শরীরে থাবা বসাতে থাকে। স্বামীর চিৎকারে স্ত্রী দেখেন স্বামীকে বাঘ জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
এরপরই সন্ধ্যা প্রান ভয় ত্যাগ করে বাঘের মাথায় নৌকার বৈঠা দিয়ে মারতে থাকেন। আর তাতেই বাঘটি শিকার ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর রক্তাক্ত দুর্গাপদকে কোন ক্রমে টেনে তোলেন নৌকার উপর। স্বামীকে বাঁচাতে চার ঘণ্টা ধরে নৌকা নিয়ে ফিরে আসেন নিজেদের গ্রামে। কিন্তু ততক্ষণে অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে দুর্গপদর।
কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের স্বজনরা। স্ত্রী সন্ধা এত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেন নি স্বামীকে। বারবার অচেতন হয়ে পড়ছেন তিনি। ঘরে দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই আর জঙ্গলে বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে করতে সুন্দরবনের ধীবররা এভাবেই হারিয়ে যেতে থাকে। মৃত দুর্গাপদর পাড়ায় এখন শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার ধীবর দুর্গাপদ ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা দুজন একটি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে যখন স্বামী স্ত্রী কাঁকড়া ধরতে ব্যস্তছিলেন সেই সময়ই আচমকা জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে দুর্গাপদর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর বাঘ ধীবরের শরীরে থাবা বসাতে থাকে। স্বামীর চিৎকারে স্ত্রী দেখেন স্বামীকে বাঘ জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের স্বজনরা। স্ত্রী সন্ধা এত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেন নি স্বামীকে। বারবার অচেতন হয়ে পড়ছেন তিনি। ঘরে দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই আর জঙ্গলে বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে করতে সুন্দরবনের ধীবররা এভাবেই হারিয়ে যেতে থাকে। মৃত দুর্গাপদর পাড়ায় এখন শোকের ছায়া।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই