Header Ads

CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিচারিতা! বিলম্বিত বোধোদয় নাকি ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? প্রশ্ন সুজনের।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ঋতু বদলের মতই বদলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! আবার প্রমাণিত হল বলছেন সমালোচকরা। কিন্তু আবার কি এমন ঘটল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পইছিয়ে যেতে হবে ১ দিন আগে। উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলে গেলেন "আমরা সংশোধিত নাগরিক আইন প্রত্যাহার চেয়ে প্রস্তাব আনব বিধানসভায়"।
তাঁর কথায়, "আমরা ইতিমধ্যেই সংশোধিত নাগরিক বিল ও এনআরসি’র বিরোধিতা করে প্রস্তাব এনেছি। আগে ওটা বিল ছিল, এখন আইন। তাই আমরা এই আইনের প্রত্যাহার চেয়ে প্রস্তাব আনব।"
কিন্তু সমস্যা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই বিধানসভায় দেখিয়েছিন 'অন্য মুড'! মুখ্যমন্ত্রী গতকাল যেটা বললেন সাংবাদিকদের আসলে গত ৬সেপ্টেম্বর বিধানসভায় সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল বাম ও কংগ্রেস।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষরিত এনআরসি ও সিএবি বিরোধী সেই প্রস্তাব প্রথমে গ্রহণ করতে চায়নি রাজ্য সরকার! শেষে জনমত এবং মানুষের স্বতস্ফুর্ত এনআরসি বিরোধিতা দেখে পিছু হটে রাজ্যসরকার। সাতদিন ফেলে রাখার পর গৃহীত হয় সেই প্রস্তাব।
ওই প্রস্তাবে তৃতীয় স্বাক্ষরকারী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর প্রথম দুটি সই ছিল সুজন চক্রবর্তী এবং আব্দুল মান্নানের!
উল্লেখ্য বিষয় হল,  সংশোধিত নাগরিক বিল তখনও আইনে পরিণত হয়নি! কাকতালীয় ভাবে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যান সেই সময়। বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। ওটা বাংলার বিষয় নয়, আসামের ব্যাপার।" অন্যদিকে রাজ্যে ফিরে এনপিআর এর বিজ্ঞাপনে ভরিয়ে দিয়েছিলেন সংবাদপত্র এবং ফ্লেক্স ব্যানারে!"

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গতকালের বক্তব্যকে সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ব্যাখ্যা করেছেন "বিলম্বিত বোধোদয়" বলে। পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা "এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকলেও থাকতে পারে"। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস নেই। সকালে যা বলেন, বিকেলে অন্য কথা বলতেই পারেন। এর আগে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব এনেছে কেরালা, পাঞ্জাব। ৭ তারিখে আমরা বিধানসভায় সিএএ বিরোধী লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছিলাম। যাতে ৯ তারিখে বিধানসভার সেশনে বিষয়টি উঠতে পারে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। উল্টে অভব্য আচরণ করে। হতাৎ আজ কেন রাজ্য সরকারের এমন মনে হচ্ছে? এটাকি বিলম্বিত বোধোদয়, নাকি এটা উদ্দেশ্য?" যদিও মুখ্যমন্ত্রী যদি আন্তরিক ভাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনেন তাহলে আপত্তি নেই তাঁদের বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে গিয়ে কার্যত উলটো সুরে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তিনি বলেন, "এনপিআর থেকে আগে বাদ দিতে হবে বাবা ও মায়ের জন্মের তারিখ।" 

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.