Header Ads

গোল নষ্টের খেসারত দিয়ে হোম ম্যাচে ড্র করলো ইস্টবেঙ্গল, কাঠগড়ায় মার্কোস।

নজরবন্দি ব্যুরো: ২০১৯-২০ আই লিগ অভিযানের শুরুতেই রিয়াল কাশ্মীর এফসির বিরুদ্ধে ৬ কর্ণার কিক। গোল আসলো না। জয় দিয়ে অভিযান দূরে থাক, খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মার্কোসের গোলে সমতায় ফিরে আসলো ইস্টবেঙ্গল, ১-১। পিছিয়ে থেকে খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো তেড়েফুঁড়ে উঠলেও লাল হলুদ ফুটবলারেরা ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে এনে থেমে গেল। কল্যাণী স্টেডিয়ামের মাঠে ০-১ গোলে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। রিয়াল কাশ্মীর এফসির হয়ে গোল দিয়েছেন ক্রিজো, ৩২ মিনিটে। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ১২ মিনিটে কর্ণার পায়। কিন্তু কোলাদোর কিক থেকে গোল আসেনি। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ফ্রিকিক পেয়ে যায়। কোলাদো গোলের সুযোগ পায়, কিন্তু কোলাদোর শট কাশ্মীরের গোলকিপার পূর্ব হাতে জমা পড়ে। এই ঘটনার ঠিক ৩ মিনিটের মাথায় বাম দিক থেকে ইস্টবেঙ্গলের অভিষেক বল পায়ে আক্রমণে উঠে আসে। কাশ্মীরের গোলকিপার সঠিক সময়ে জাজ করে বেরিয়ে এসে বলের দখল নিয়ে রিয়াল কাশ্মীর এফসির পতন রোধ করে। ৩২ মিনিটে কাশ্মীর ক্রিজোর গোলে ১-০ লিড নেয়। ৩৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে বসে। কোলাদোর কর্ণার থেকে অধিনায়ক কাশিম আইদারা হেড দিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হয়। ৪৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোলের সুযোগ পায়। কোলাদোর ফ্রিকিক থেকে মেহেতাব সিং গোলের সুযোগ পেলেও, দুর্বল হেডার কাশ্মীরের গোলকিপারকে তলাতে পারেনি। ৪৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে বসে। বল পায়ে লাল হলুদ ফুটবলার মার্কোস কাশ্মীরের গোলকিপার পূর্বকে একের বিরুদ্ধে এক পজিশনে পেয়ে যায়। কিন্ত মার্কোসের ডান পায়ের শট রুখে দেয় কাশ্মীরের গোলকিপার। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। আর রিয়াল কাশ্মীর এফসি হাফ চান্সকে ফুল চান্সে পরিণত করে ০-১ গোলের লিড নিয়ে ফেলে প্রর্থমার্ধে। মার্কোস, এই নামটা প্রথম ম্যাচে কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ম্যাচে বারে বারে ঘুরেফিরে আসবে। সুযোগ এসেছিল মার্কোসের কাছে, ব্যবধান বাড়ানোর, এককথায়, ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিট,বাম দিক থেকে কাশিম আইদারার ক্রস, মার্কোসের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। ০-১ গোলে পিছিয়ে আলেহান্দ্রোর ইস্টবেঙ্গল। ৬০ মিনিট, লাল হলুদের জুয়ানের ফ্রিকিক, কিন্তু মেহেতাব সিং বলের লাইন মিস করে, ক্রশবারের ওপর দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে জুয়ানের দূরপাল্লার শট কাশ্মীরের ক্রশবারে গিয়ে আঘাত লাগে। লাল হলুদে বদল আলেহান্দ্রোর। কমলপ্রীত সিংহের বদলে অভিজিৎ সরকার মাঠে নামে। ৭৭ মিনিটে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে অবশেষে মার্কোস কাশ্মীরের জালে বল জড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়। জুয়ানের বাম দিক থেকে আসা ক্রশপিস থেকে মার্কোসের গোল। ম্যাচে ১-১ গোলের সমতায় ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল, রিয়াল কাশ্মীর এফসির বিরুদ্ধে। ৮১ মিনিটে গোললাইন সেভ কাশ্মীরের, সুযোগ হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের। অবশ্য বিতর্ক থাকছে এই গোল লাইন সেভ নিয়ে। তাহলে দাঁড়ালো কি প্রথম ম্যাচের নির্যাস? ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রোর স্ট্যাটেজি ফ্লপ! না কি আলেহান্দ্রোর স্ট্যাটেজিকে মাঠে রুপায়ন করতে না পারার ব্যর্থতা লাল হলুদ ফুটবলারদের। কোচ বল পায়ে মাঠে নামে না, নামে ফুটবলারেরা। গোল করাতে এবং করতে হয় ফুটবলারদের। ম্যাচে সমতায় ফিরে আসলেও জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা, বিশেষত মার্কোস। ম্যাচের ৪৪, ৫৪ মিনিটে মার্কোস গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। সঙ্গে লাল হলুদ অধিনায়ক কাশিম আইদারার টার্গেট মিস, প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে। এর সঙ্গে মেহেতাব সিংহের নাম জুড়ে যাবে গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে না পেরে। আলেহান্দ্রোর ভবিষ্যৎ বাণী ছিল এই ম্যাচ নিয়ে, রিয়াল কাশ্মীর শক্তিশালী দল। আর রিয়াল কাশ্মীর কোচ বলেছিলেন প্রি ম্যাচ কনফারেন্সে, ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলা অভিঞ্জতা আই লিগ ম্যাচে কাজে আসবে। আর এই অভিঞ্জতা দিয়েই ফারহান, ডানিশ, ক্রিজো, নভীনরা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথমে গোলের লকগেট খুললো। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ফিরে আসার জন্য গোটা ম্যাচে ছটফট করলো। ম্যাচে ১-১ গোলের সমতা রেখে, পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়লো। বুধবার ম্যাচের দিন কলকাতা থেকে কল্যাণী স্টেডিয়ামের জার্নি নিয়ে লাল হলুদ কোচ আলেহান্দ্রোর কপালে বলিরেখা ফুটে উঠেছিল। ক্লান্তি আই লিগ অভিযানের প্রথম ম্যাচের ফ্যাক্টর হতে পারে, চিন্তায় ছিলেন। সবকিছু ছাপিয়ে মার্কোস যেভাবে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করলো, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ১৬ বছর ধরে আই লিগ অপ্রাপ্তির ভাঁড়ারকে আরও বেশি করে হতাশার অস্তাচলে নিয়ে যাবে না তো! যেখানে আলেহান্দ্রো বলেই দিয়েছে, "আমার দলের সমর্থকরাই ১০ নম্বর ফুটবলার।" কারণ বর্তমান ইস্টবেঙ্গল দলে ১০ নম্বর জার্সির কীন ফুটবলার নেই।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.