Header Ads

বিজিটিএ'র দাবী পুরণ করে হলফনামা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট। #Exclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত ২২ শে জুলাই হাইকোর্ট ম্যান্ডামাস জারী করে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের বেতন বঞ্চনা মিটিয়ে দিতে বলেছিল মহামান্য হাই কোর্ট, কিন্তু মুল রোপা ২০১৯ - এমনকি শিক্ষা দপ্তরের রোপায় ও তার কোন প্রভাব পড়েনি। তাই তারা আদালত অবমাননা মামলা করেছিলেন হাই কোর্টে--এমনটা দাবী করে বিজিটিএ'র তরফে জানানো হয়েছে আজ বেলা তিনটে নাগাদ মামলা টি ৩৯ নং কোর্টে শুনানির জন্য উঠলে বিজিটিএ'র আইনজীবীরা মাননীয় বিচারপতি কে জানান যে তাঁর দেওয়া রায় এখনো পর্যন্ত মাননেননি সরকার। মূল পে কমিশন বেরোনোর পর শিক্ষকদের রোপা ও বেরিয়ে গেছে, কিন্তু সেখানে ও মহামান্য হাইকোর্টের রায় কে মান্যতা দেওয়া হয় নি। আবার সরকার কোন শুনানি তে হাজির থাকছেন না, কোন শুনানিতে সময় চেয়ে আদালতের বৃথা সময় নষ্ট করাচ্ছেন। তাই তারা কোর্টের রায় কে মান্যতা দেওয়া পর্যন্ত রোপা র কাজকর্ম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। উল্টো দিকে সিনিয়র নেই অজুহাত দিয়ে সরকারী আইনজীবী আরো সময় চান। সব শোনার পর বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন রায় মানতে সরকার এতদিন ভিত্তিহীন ভাবে সময় নষ্ট করেছেন। তিনি আগামী ৪ঠা জানুয়ারীর মধ্যে কোর্টের রায় যে সরকার মান্যতা দিয়েছে এই মর্মে এভিডেভিড দিতে বলেন। তার আগেই বিজিটিএ"র আইনজীবীদের তা সার্ভ করতে বলে নির্দেশ  দেন। এখানে শেষ নয়, এর পর ১০ ই জানুয়ারী তিনি মামলা টি পুনরায় শুনবেন বলে জানান।
আজকের এই রায় নিসন্দেহে সরকার কে চাপে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে রায়ের পর বিজিটিএ মহলে খুশীর হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কারন তারা মনে করছেন এবার সরকারের কাছে রায় মেনে টিজিটি দেওয়া ছাড়া আর অন্য কোন রাস্তা খোলা থাকছে না,কেননা এটি অবমাননা মানলা। এবার সরকার উপেক্ষা করলে জারী হতে পারে সমনও।
হাই কোর্টের আজকের রায় কে স্বাগত জানিয়ে বিজিটিএ সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, " বিজিটিএ গনতন্ত্রে বিশ্বাসী, বিশ্বাসী ভারতীয় আইন ও বিচার ব্যবস্থায়। তাই আমরা জানতাম মূল রায়ের মত অবমাননা মামলা ও আমাদের ফেভারেই যাবে। আজ আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ আমাদের সেই আস্থা কে বহুগুনে বাড়িয়ে দিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের রাজ্যে হাই কোর্টের রায় কে মান্যতা দেওয়ার জন্য অবমাননা মামলা করতে হচ্ছে।" তিনি আরো বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। আমরা আমাদের ঘোষিত কর্মসূচী থেকে সরে আসছি না, তবে ঘোষিত আন্দোলন গন শিক্ষক আন্দোলনে পরিনত হবে না ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয়ে উঠবে তা এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারের উপর।" সংগঠনের যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মন্ডল বলেন," হাই কোর্টে আমরা আইনী জয় আগে ও পেয়েছি, এবার ও তার ব্যতিক্রম হবে না আমরা জানতা।  আইন আইনের পথে চলবে তথাপি আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তথা সরকার কে আবেদন জানাতে চাই যে তারা যেন গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের দাবী মেনে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেন যা ভূতপূর্ব সরকারের আমলে লুন্ঠিত হয়েছিল।" তিনি আরো বলেন, "বিজিটিএ'র পূর্বঘোষিত কর্মসূচী দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। সরকার  দাবী মানলে ঐ কর্মসুচী ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচী হয়ে উঠবে। আর না হলে কঠোর আন্দোলন! আর সে আন্দোলন এযাবতকাল সংঘটিত সমস্ত শিক্ষক আন্দোলনকে ছাপিয়ে সারা পশ্চিম বঙ্গ কাঁপিয়ে দেবে,কারন কাকদ্বীপ থেকে কোঁবিহার সমস্ত জেলায় বিজিটিএ শক্তিশালী সংগঠন তৈরী করেছে"
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.