টিজিটি স্কেল চাই; হাইকোর্টের রায়ের মান্যতার দাবিতে ধর্মতলায় ধর্না গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ হাইস্কুলের গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি স্কেল প্রদান সহ একাধিক দাবি আদায়ের জন্য আরও একবার আন্দোলনে নামল বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিজিটিএ।এবার কোলকাতার শহীদ মিনারের পাদদেশ ভাসল শিক্ষকদের জনজোয়ারে।বিজিটিএ’র শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের মতানুসারে সাময়িক ভাবে আগামী নভেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত হতে চলেছে এই বৃহত্তর সমাবেশ। তারা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে আন্দোলন হবেই।এবং তারা রাজ্যের সমস্ত গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের রাজ্য সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত টিজিটি স্কেল সহ একাধিক দাবি নিয়ে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে।এর আগেও তারা তাদের এই দাবিদাবা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করে তাদের এই ন্যায্য অধিকারের কথা জানিয়ে এসেছেন।শিক্ষামন্ত্রীও উক্ত বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন।কিন্তু ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টে সরকার সেই সমস্ত আশ্বাস পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের ক্ষোভ আরও চরমে পৌঁছেছে।ইতিমধ্যেই তারা রাজ্যসরকারের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার ডিআই অফিস গুলিতে ডেপুটেশন দিয়েছেন।এই ডেপুটেশন গুলি থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো যে খুব শীঘ্রই তাঁরা আবার বড়ো কোনও আন্দোলনে সামিল হতে চলেছেন।সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে তারা আগামী মাসের ৩,৪ ও ৫ তারিখে শহীদ মিনারের পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন।
কেন এই আন্দোলন?এর কারণ হিসেবে তারা জানান যে,কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুসারে টিজিটি এবং পিজিটি ক্যাটাগরির শিক্ষকদের ব্যাসিক পে’র মধ্যে পার্থক্য থাকার কথা ২৭০০ টাকা।কিন্ত বর্তমানে এই রাজ্যে সেই পার্থক্য ১০০০০ ছুতে চলেছে।তাদের মতে রাজ্য সরকার গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের ‘পাস ক্যাটাগরি’ নামক শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করায় এই পার্থক্য আরও চরম আকার ধারণ করেছে।অাবার গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের টিজিটি স্কেল প্রদান না করেই ষষ্ঠ পে কমিশন কার্যকর হওয়ায় এই পার্থক্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
তাই তাঁরা এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।হাইকোর্টও তাদের পক্ষেই রায়দান করে এবং রাজ্যসরকারকে এই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন।কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যসরকার হাইকোর্টের রায় অনুসারে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের এই বেতন বৈষম্য দূরীকরণে কোনোরকম উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন - আমাদের আশা মাননীয় মুখমন্ত্রী আমাদের সভায় এসে আমাদের গ্রাজুয়েট শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে পে স্কেলের সমস্যার সমাধান করবেন। এও জানান যে যদি ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো সুরাহা। না হয় তাহলে আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন সকল গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা।
প্রসঙ্গত টিজিটি স্কেল সহ একাধিক দাবি নিয়ে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে।এর আগেও তারা তাদের এই দাবিদাবা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করে তাদের এই ন্যায্য অধিকারের কথা জানিয়ে এসেছেন।শিক্ষামন্ত্রীও উক্ত বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন।কিন্তু ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টে সরকার সেই সমস্ত আশ্বাস পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের ক্ষোভ আরও চরমে পৌঁছেছে।ইতিমধ্যেই তারা রাজ্যসরকারের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার ডিআই অফিস গুলিতে ডেপুটেশন দিয়েছেন।এই ডেপুটেশন গুলি থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো যে খুব শীঘ্রই তাঁরা আবার বড়ো কোনও আন্দোলনে সামিল হতে চলেছেন।সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে তারা আগামী মাসের ৩,৪ ও ৫ তারিখে শহীদ মিনারের পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন।
তাই তাঁরা এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।হাইকোর্টও তাদের পক্ষেই রায়দান করে এবং রাজ্যসরকারকে এই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন।কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যসরকার হাইকোর্টের রায় অনুসারে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের এই বেতন বৈষম্য দূরীকরণে কোনোরকম উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন - আমাদের আশা মাননীয় মুখমন্ত্রী আমাদের সভায় এসে আমাদের গ্রাজুয়েট শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে পে স্কেলের সমস্যার সমাধান করবেন। এও জানান যে যদি ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো সুরাহা। না হয় তাহলে আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন সকল গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই